গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সালমা আক্তার (১৪) নামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এ খবর পেয়েই বিয়ে বাড়িতে হানা দেন ইউএনও। এতে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো ওই ছাত্রী। সালমা আক্তার উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের রামডাকুয়া গ্রামের সাহুবর আলীর মেয়ে ও স্থানীয় পঞ্চানন্দ আর ইউ দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, সালমা আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী তারাপুর ইউনিয়নের এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের দিনক্ষণ অনুযায়ী গত রোববার সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে সাথে সাথেই ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ। এসময় তিনি ওই ছাত্রী সালমা আক্তার ও তার মা জমিলা বেগমকে আটক করেন। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেনা মর্মে তার মায়ের কাছে মুচলেকা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জিম্মায় ছেড়ে দেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্যাহ, ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজি, ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক মিয়া, রেজাউল আলম উপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। তাহলে বাল্যবিয়ে নির্মূল করা সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন