আজ শনিবার ভোরে, বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার গোপন সংবাদ পেয়ে বাল্যবিবাহ দেওয়ার ও অপরাধে কনের বাড়ি থেকে পৌর এলাকার চকপাড়া (শাহীন পুকুর) মহল্লার অষ্টম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীকে কে বিয়ে করতে আসা ঘোড়াঘাট উপজেলার মোখলেসপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র মাওলা (১৮) কে বাল্যবিয়ের অপরাধে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতির অপরাধে কনের অভিভাবককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বাল্যবিবাহ দিবেন না মর্মে মেয়ের দাদী ও ফুফুর থেকে মুচলেকা নেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটি ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকর দৈনিক ইনকিলাব কে বলেন, বিরামপুর পৌর শহরের চকপাড়া (শাহিনপুকুর) মহল্লায় অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া জনৈকা এক শিক্ষার্থীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে মেয়েটির বাড়িতে যান ও বিয়ে বন্ধ করে দেন। সে সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বর-কনে ও বরযাত্রীসহ অনেকে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে কনের অভিভাবকের সাথে কৌশলে কথা হলে বর ও কনেকে সেখানে হাজির করা হয়।
কনের বয়স ১৪ বছর ও বরের বয়স ১৮ বছর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বাল্যবিয়ের অপরাধে বর মওলাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বিয়ে শ্রীঘরে পাঠানো হয়। মেয়েকে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতির অপরাধে কনের অভিভাবককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত জানান, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মওলাকে দিনাজপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন