শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ৪ জেলের লাশ উদ্ধার

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৬ এএম

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ জেলের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ৪ জেলের লাশ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পশ্চিম সাগরের ৬ নম্বর বয়া এলাকায় ভাসমান অবস্থায় আলমগীর সর্দার এবং আগেরদিন রবিবার সকালে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ভেতর থেকে মো. ইসমাইলের লাশ উদ্ধার করেন স্বজন ও স্থানীয় জেলেরা। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার জানখালী গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী হারুন মুন্সীর ট্রলারের জেলে তারা।
আলমগীর সরদার জানখালী গ্রামের মো. নূরু সরদারের ছেলে এবং ইসমাইল খাঁন একই গ্রামের আ. আজিজ খাঁনের ছেলে। এর আগে শনিবার বাগেরহাটের মৎস্য ব্যবসায়ী আনিস সরদারের এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের ৮ জেলের মধ্যে ইয়াকুব সরদার ও মামুনের লাশ কোস্টগার্ড উদ্ধা করে। এ নিয়ে গত তিন দিনে চার জেলের লাশ উদ্ধার হলো। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে বনবিভাগ ও নিহতের পরিবার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঠবাড়িয়ার জানখালী গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আ. হালিম জানান, হারুন মুন্সীর এফবি জামিলা ট্রলারটি ১৪ জেলেসহ ডুবে যায়। এর মধ্যে ১১ জনকে অন্য ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করলেও ৩ জেলে নিখাঁজ হন। ওই তিন জনের মধ্যে আলমগীর সরদার ও ইসমাইল খাঁনের লাশ পাওয়া যায়। এখনো বাচ্চু মিয়া নামের এক জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার বাড়ি মঠবাড়িয়ার ছোট মাছুয়া গ্রামে। ইসমাইলের লাশ সোমবার সকালে তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলার দুটি বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাগেরহাট মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সহসভাপতি মো. আব্দুল মান্নান বেপারী জানান, আনিস সরদারের এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের আরো ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ওসি প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় জানান, নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত চার জনের লাশ উদ্ধার করে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে কোস্টগার্ড, বনরক্ষী ও ১৫ থেকে ২০টি ট্রলারে শতাধিক জেলে নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া, ডুবে যাওয়া ১১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ২টি নৌকা নিখোঁজ রয়েছে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলার অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মামুনুর রহমান বলেন, আমাদের পিসিজিএস তৌফিক নামের একটি জাহাজ এবং দুটি স্পিডবোট সাগরের প্রায় ২০ মাইল এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
আমরা এপর্যন্ত দুই জেলের লাশ এবং তিন জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। এছাড়া, উদ্ধার হওয়া দুটি বোট তাদের মালিকরা নিয়ে গেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন