লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
লোহাগাড়া উপজেলায় তাহমিনা আক্তার মনি (২৪) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মনি লোহাগাড়া থানার বড়হাতিয়া হাজির পাড়ার আব্দুস সোবহানের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীনের স্ত্রী। এ ব্যাপারে নিহত মনির ভাই রবিউল হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে লোহাগাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। জানা গেছে, ২০১০ সালের ৮ জুন প্রেমের সম্পর্ক থেকে চট্টগ্র্রাম শহরের বায়েজীদ বোস্তামী এলাকার শহীদ নগর এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের কন্যা তাহমিনা আক্তার মনির সাথে লোহাগাড়া উপজেলা বড়হাতিয়ার হাজির পাড়ার অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ২টি কন্যাসন্তান রয়েছে। নিহত মনির শ্বশুর আব্দুস সোবহান বলেন, মনি তার বাড়িতে তার ছেলের বউ হয়ে আসার পর থেকে চোখের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিল। এমনকি গত জুলাই মাসেও তার প্যারালাইজড রোগ হয়। পরে সুস্থ হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, গত ১ নভেম্বর রাত ৯টায় মনি হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে। সারা রাত অস্থিরতায় ভুগলেও রাত হওয়ায় তারা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারেনি। পরদিন গত বুধবার সকাল ৭টায় সে মারা যায়। তাদের ধারণা সে বেশি পরিমাণে ওষুধ খেয়ে ফেলেছিল। মনির ভাই আব্দুল করিম বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার বোন মনিকে যৌতুকের জন্য তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছে। এ ব্যাপারে গত ৮ জুলাই ২০১৬ তারিখ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে অভিযোগ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটের সিদ্ধান্ত ও আপস মোতাবেক গত ৩১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখ সুস্থ শরীরে স্বামী ও শ্বশুরের কাছে আমরা আমাদের বোন মনিকে তার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে গিয়ে সবার কাছে দিয়ে আসি। বুধবার সকাল ১১টায় বোনের স্বামী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন ফোন করে মনি মারা গেছে বলে আমাদের সংবাদ দেন। পরে তারা বিষয়টি লোহাগাড়া থানাকে অবহিত করলে থানা পুলিশ বুধবার রাত ১০টায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে লোহাগাড়া থানায় নিয়ে আসেন। এসআই প্রভাত কর্মকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতের শ্বশুর আব্দুস সোবহানকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান। মনির শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। লাশের গায়ে আঘাত বা বিষক্রিয়ার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন লোহাগাড়া থানার এসআই প্রভাত কর্মকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন