মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
মীরসরাই উপজেলায় এক প্রাথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর গতকাল বৃহ¯পতিবার পর্যন্ত সর্বত্র সমালোচনার ঝড়ে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। ৫ম শ্রেণীর কন্যা শিশুদের এমন অভিযোগ শোনার পর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উক্ত শিক্ষককে তাৎক্ষণিক বদলি করেন। কিন্তু এখন অভিভাবক মহলে প্রশ্ন এতটুকুতেই কি তার উপযুক্ত বিচার? ৫ কন্যা শিশু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, মীরসরাই উপজেলার ধূম ইউনিয়নের উত্তর নাহেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বিধান চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করছিল। এ বিষয়ে কাউকে বললে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি দিত। অবশেষে শিশুরা বিষয়টি তাদের মা-বাবাকে জানালে অভিভাবকরা একত্রিত হয়ে গত বুধবার মীরসরাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম রহমানের কাছে এলে শিক্ষা অফিসার শিশু ও অভিভাবকদের বক্তব্য শুনে উক্ত শিক্ষককে তাৎক্ষণিক শিক্ষা অফিসে ডেকে আনেন। উপস্থিত শিশুদের উপস্থিতিতেই উক্ত শিক্ষককে তিনি কর্মরত বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করে উপজেলার ১১ নম্বর মঘাদিয়া ইউনিয়নের বদিউল্লাহপাড়া বিদ্যালয়ে বদলির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন। তিনি এ বিষয়ে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কঠোর প্র্রশাসনিক ব্যবস্থাও নেবেন বলে জানান। অভিযোগকারী এক শিশুছাত্রীর মা জোসনা আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর পূর্বেও কয়েকবার একইরকম অভিযোগ ওঠার পর স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাহায্য নিয়ে উক্ত শিক্ষক বিষয়গুলো ধামাচাপা দেয়। তাই আমরা অতিষ্ঠ হয়ে এখন সরাসরি শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করতে নিজেরাই এসেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন