শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কে জনভোগান্তি সীমাহীন

প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জিএম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে
আশাশুনি-ট-সাতক্ষীরা সড়কের দুরাবস্থায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। যানাবাহন চলাচলে যাত্রী দুর্ভোগের পাশাপাশি ছোট যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীরা বাসের চাকার ধাক্কায় ময়লা পানিতে চুপসে নিত্য নাজেহাল হয়ে বিপত্তিতে পড়ছেন। যাত্রীবাহী মিনিবাস, মাইক্রো, ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, নছিমন-করিমন, ইঞ্জিনভ্যান-পা ভ্যান, বাই সাইকেলসহ প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে এই সড়কে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন দীর্ঘ ২৪ কি.মি. সড়কের প্রায় সবটুকুই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের পিচ-খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর কিছু কিছু পুটিং-সংস্কার কাজ করা হলেও যথাযথভাবে এবং প্রয়োজনীয় কাজ না করায় তা খুব একটা কাজে আসে না। বরং অবশিষ্ট নষ্ট হয়ে থাকা সড়কের ব্যাপকতার কারণে কিছুদিনের মধ্যে পুরা সড়কটি আবারো ভোগান্তিতে পরিণত হয়। বর্তমানে বুধহাটা-আশাশুনি অংশের তুলনায় বুধহাটা-সাতক্ষীরা অংশে সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। ঘোলঘলা মাঠ, চাঁদপুর, কোমরপুর, ধুলিহর এলাকায় বড় বড় খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীদের পেটের ভাত হজম কেবল নয় বরং নাড়িভুড়ি ব্যথা হয়ে যায়। বর্ষার পানিতে ভরে থাকা খাদের উপর ৪ চাকার যানবাহন চলার সময় চাকার ধাক্কায় ময়লা পানি ছিটকে পাশের ছোট যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীরা নিয়মিত নিমজ্জিত হয়ে থাকে। গন্তব্যে যাওয়ার পরিবর্তে কাদাপানিতে গোসল করা অবস্থায় বাড়িতে ফিরতে হয় অনেককে। প্রতিদিন অনেক যানবাহন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সবমিলে সড়ক ব্যবহারকারীরা রয়েছে চরম বিপাকে। যানবাহন মালিক, এলাকাবাসী ও যাত্রীসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামত/পুনর্নির্মাণ করে ভোগান্তি লাঘবে এগিয়ে আসতে কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।     

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন