নিউইয়র্কে বাংলাদেশী অধ্যুষিত ওজন পার্কে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক খন্দকার মোদাচ্ছের হত্যার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার ওজন পার্কে সভা হয়েছে। ওইদিন বাদ জুম্মা স্থানীয় ফরবেল ষ্ট্রীটস্থ মসজিদ সংলগ্ন মাঠে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে ময়না তদন্ত শেষে খন্দকার মোদাচ্ছেরের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং তার বাবা বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্ক ফিরে আসার পর পারিবারিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে কোথায় দাফন করা হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। খন্দকার মোদাচ্ছেরের এক ভাই নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে বসবাস করেন। অপরদিকে খন্দকার মোদাচ্ছের হত্যার সাথে জড়িতদের সন্ধানে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ (এনওয়াইসি পুলিশ) হ্যান্ডবিল প্রকাশ করে খুনিদের ধরতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছে।
জানা গেছে, খন্দকার মোদাচ্ছের হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে চলছে নানা তদন্ত। রাস্তার সিসি ক্যামেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশ বলছে, এ হত্যার ঘটনার সাথে এক ব্যক্তি জড়িত। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ওজনপার্কের গ্লেনমোর এভিনিউয়ের কাছে ফরবেল স্ট্রিটে গত মঙ্গলবার ৮ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে খন্দকার মোদাচ্ছের হত্যাকান্ডের শিকার হন। এই ঘটনায় বাংলাদেশী কমিউনিটিতে উদ্বেগ-আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা অবিলম্বে মোদাচ্ছেন হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতিতে প্রশাসনের কঠোর উদ্যোগ দাবি করছেন।
নিহত খন্দকার মোদাচ্ছের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ। তিনি ওজন পার্কের ২০০ ফরবেল স্ট্রীটের বাসায় মা, স্ত্রী ও ৪ বছরের সন্তান নিয়ে বিগত প্রায় দু’বছর ধরে বাস করছিলেন। খন্দকার মোদাচ্ছের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্র্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে ওজন পার্কের গ্লেনমোড় ও ফরবেল স্ট্রিটের কর্ণারে গুলিবিদ্ধ হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন