আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ছিল ভাড়াটিয়া খুনি। পরাশক্তি বা বিদেশী শক্তি বাদ দিলে দেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, যে মানুষটি সারাজীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ভুলে গিয়ে বাঙালিকে তার হাজার বছরের স্বপ্ন স্বাধীন ভূখন্ড উপহার দিলেন। সেই বঙ্গবন্ধু ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মাথায় কী এমন ঘটলো, যে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র স্লোগান দিয়ে দল গঠন করার প্রয়োজন হলো। কারা ছিলেন পেছনে? কারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করলো-এসব খুঁজে বের করতে হবে। এসব ইতিহাস জানতে হবে।
গতকাল জাতীয় জাদুঘরে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির ‘১৫ই আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্র ও সহায়তাকারী জিয়াসহ অন্যদের খুঁজতে তদন্ত কমিশন চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। উপ-কমিটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, কথা সাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।
দলে অনুপ্রেবশকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ একটানা দীর্ঘদিন ক্ষমতায়, দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সামনের লড়াইয়ে লড়তে হলে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রকৃত আওয়ামী লীগের, তারাই লড়ে যাব। অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডরা লড়তে আসবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন