কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পানি নিষ্কাশনের সুইসগেটটি প্রায় ১০ বছর থেকে অকেজো থাকলেও মেরামতের জন্যে নেয়া হয়নি কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ। এতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের বন্যায় উপজেলার প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। সচেতন মহলের আশঙ্কা সুইসগেটটি সংস্কার না করা হলে আবারো দুর্ভোগে পড়বে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। সুইসগেট সংস্কারের উপযুক্ত সময়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনই উপযুক্ত সময় এটি সংস্কার করার।
জানা গেছে, উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের চর পাত্রখাতায় এলাকায় ১৯৭৬-৭৭ অর্থ বছরে ৪৭ লাখ টাকা সুইসগেট নির্মাণ করা হয়। সুইসগেটের ১২টি কপাটের মধ্যে প্রায় সব কয়েকটি কপাটই নষ্ট থাকায় খুব সহজেই শহরের ভেতরে পানি প্রবেশ করে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় উপজেলার প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষদের। প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানির কাছে হেরে যাচ্ছে চিলমারী উপজেলার মানুষ। শত শত একর জমির ফসল, ঘেরের মাছ সবই কেড়ে নিয়েছে এই পানি। বর্ষা মৌসুমে মৃত ব্যক্তির কবর দেয়ার জায়গাও পাওয়া যায় না। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার মাধ্যম হচ্ছে এই সুইসগেট। কিন্ত গত কয়েক বছর থেকে এই সুইসগেট সংস্কারের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণে এখনো হয়নি সংস্কার।
তবে স্থানীয়রা মনে করছেন যদি শুকনো মৌসুমে সুইসগেট সংস্কার না করা হয় তাহলে আবারো বন্যার পানিতে পানিবদ্ধতায় গোটা চিলমারী উপজেলার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে। স্থানীয় আব্দুল আজিজ, মোস্তাফিজার রহমান, আতিক জানান, অনেক আগে থেকে উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের বলেও কোন কাজ হয়নি। সুইসগেট সংস্কারের অভাবে শত শত একর আবাদী জমির ফসল ক্ষতি হচ্ছে। তাই এখন এটি সংস্কার করার খুব প্রয়োজন।
এদিকে গেল বন্যায় দেখা গিয়েছে দীর্ঘ মেয়াদি বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় লোকজন উপজেলা পরিষদ চত্বরে হাটু পানিতে দাড়িয়ে মানববন্ধন করেন এবং প্রশাসনের নিকট সুইসগেটির সংস্কারের দাবি জানান। শুকনো মৌসুমে সংস্কার করে দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর না দেয়ায় আশঙ্কায় দিন কাঠছে মানুষের।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, নতুন সুইসগেট করার জন্যে আমি জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সুইসগেটটি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন