ভাগ্য বদলের চেষ্টায় ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষকেরা। ফলন ভালো হওয়ায় এবং লাভের পরিমাণ বেশি থাকায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। অনেক কৃষকই এখন তাদের ফসলি জমিতে নিয়মিতভাবে ভুট্টা চাষ করছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, এ বছরে রোগবালাই কম থাকায় ভুট্টার ফলন হবে অনেক ভালো। সেচ খরচ কম হওয়ায় এবং বাজারে ভাল দাম থাকায় লাভ হবে অনেক। সেই সঙ্গে একজন কৃষক ভুট্টা চাষে লাভবান হচ্ছে ত্রিমুখীভাবে। একদিকে বাজারে ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে ভালো দামে, অন্য দিকে ভুট্টার মুচিগুলো প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। আবার ভুট্টার গাছগুলো জ্বালানি হিসেবে বিক্রি হয়। সব মিলে এ উপজেলার কৃষকরা দিনে দিনে ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
ভুট্টা চাষি মো. লালন শেখ বলেন, গেল বছরে দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করে ছিলাম তাতে ভাল দাম পেয়ে ছিলাম। খরচ বাদেই অনেক টাকা লাভ হয়েছিলো। এই বছরে চার বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি আশা করছি এবারো অনেক টাকা লাভ হবে। ভুট্টা ক্ষেতে মাঝে মধ্যে সেলো মেশিন দিয়ে পানি ও সার দিতে হয়। এক থেকে দুই বার ভুট্টা ক্ষেতে ঘাস মারার জন্য কিছু কিটনাশক চিটিয়ে দিতে হয়। এবার বেশি বৃষ্টি হওয়াতে মেশিন দিয়ে পানি দিতে হয়নি। ভুট্টা প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩২ মণ পর্যন্ত। আশা করছি সব মিলে এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে।
আরেক ভুট্টা চাষি আকরাম বিশ্বাস বলেন, আমি এই বছর দেড় বিঘা জমি কট নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছি। আশা করছি ভালো ফলন হবে, তাছাড়া ভুট্টা বাজারে সব সময় ভালো দাম থাকে। ভুট্টা দিয়ে খই হয়, গোখাদ্য, মুরগীর ফিট মাছের ফিট এবং পাপ্পন আটা ইত্যাদি হয়ে থাকে। ধানের চেয়ে ভুট্টা চাষে আগ্রহী বেশি। কারণ একবিঘা জমিতে ধানের চেয়ে ভুট্টা বেশি উৎপাদন হয় তা ছাড়া পরিশ্রম খুব কম।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. খোকন উজ্জামান বলেন, এ বছরে এই উপজেলায় মোট ২শ’ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ভুট্টা চাষ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন