এস. কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে
গোটা ঝিনাইগাতীজুড়ে আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন। হাট-বাজার সয়লাব হয়ে গেছে এ সব পলিথিনে। প্রকাশ্যে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন-শপিংব্যাগ। নিষিদ্ধ পলিথিন শপিংব্যাগে উপজেলা সদরসহ গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার এখন সয়লাব হয়ে গেলেও উপজেলা প্রশাসন রয়েছে নীরব। ফলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নাকের ডগায় প্রকাশ্যে বিক্রিও ব্যবহার হচ্ছে এসব পলিথিন-শপিংব্যাগ। উপজেলার আনাচে-কানাচে মিলছে বেআইনী এ সব পলিথিন। এতে চরম ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ ও প্রাণীকূলের। অথচ উপজেলা প্রসাশন এ সব দেখেও না দেখার ভান করছে-কি যেন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় এমন মন্তব্য করেছেন অভিজ্ঞমহল। কোথায় নেই পলিথিন? কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে মাছ-মাংস, অন্যান্য খাবার এমনকি প্রসাধনীসহ কিছু কিনলেই পলিথিনের ব্যাগে ঢুকিয়ে দিচ্ছে দোকানীরা। আর অবাধ পলিথিনের ব্যবহারের কারণে এখন আর কেউ চট বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহারই করছে না। এ ছাড়া সরকারিভাবেও এখন আর পলিথিনের ক্ষতিকর দিক নিয়ে নেই কোন প্রচার-প্রচারণা। জানা যায়, অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কোন কোন অনুষ্ঠানের খাবারও প্যাকেট করা হচ্ছে পলিথিনের ব্যাগে। জানা যায়, ১৯৮২ সালের দিকে শুরু হয় পলিথিন শপিং ব্যাগের প্রচলণ। ব্যবহারে সুবিধা এবং স্বল্পমূল্যের কারণে দ্রুত ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় পলিথিন ব্যাগ। ব্যবহার যেমন বাড়তে থাকে তেমনি ধীরে ধীরে পলিথিন যে পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, তা প্রকাশ ও হতে থাকে। এ ভাবেই সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে মাঝে-মধ্যে অভিযান চালানো হলেও বর্তমান ইউএনও যোগদানের পর নেয়া হচ্ছে না কোন কার্যকর ব্যবস্থা। ইতিপূর্বের অভিযানও ক্ষুদ্র পরিসরে হওয়ায় মূল অপরাধীরা থেকে যায় সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাবতো পড়ছেই, বাড়ছে জলাবদ্ধতা এবং জনস্বাস্থ্যের ওপরও সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক হুমকি। দ্রুত কমে যাচ্ছে জমির উর্বরা শক্তি এবং কমছে উৎপাদন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন