মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

মাতৃভাষা আল্লাহর অনুপম নিদর্শন ও শ্রেষ্ঠ দান খুৎবা পূর্ব বয়ান

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:৪০ পিএম

মাতৃভাষা আল্লাহর দেয়া অনুপম নিদর্শন এবং শ্রেষ্ঠ দান। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সৃষ্টিগত অভ্যাস। তাই ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসার শিক্ষা দিয়েছে। তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে পেশ ইমাম এসব কথা বলেন। রাজধানীর মসজিদগুলোতে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় অধিকাংশ মসজিদের বাইরে মুসল্লিদের জুমার নামাজ আদায় করতে হয়েছে।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক জিলানী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, আল্লাহ তায়ালার অফুরন্ত নিদর্শন সমূহের মধ্যে ভাষা অন্যতম একটা নিদর্শন। কোরআনুল কারীমে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,"তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও রং এর ভিন্নতা। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। "(সূরা রূম-২২)। পেশ ইমাম বলেন, মাতৃভাষা মায়ের ভাষা। প্রত্যেক মানুষের নিকট তার নিজ মাতৃভাষা অতিশয় প্রিয়। আল্লাহর কাছে তার প্রতিটি বান্দাই যেমন সমান। সাধারণ দৃষ্টিতে মানুষে মানুষে যেমন কোনো বিভেদ নেই, ভাষার মর্যাদার ক্ষেত্রে ও তেমন কোনো ভেদাভেদ নেই। কিন্তু প্রত্যেক মানুষের কাছেই তার মাতৃভাষার চেয়ে মর্যাদা সম্পন্ন আর কোনো ভাষা নেই। মাতৃ জীবের অস্তিত্ব লাভের পর মায়ের রক্তে যে অস্তিত্বের ক্রমবিকাশ ঘটে এবং ভূমিষ্ঠ হবার পর মাতৃস্নেহে বেড়ে ওঠে অতঃপর ধীরে ধীরে মায়ের ভাষা শিখে আস্তে আস্তে মনের ভাব প্রকাশ করে। তাই মা মাতৃভাষা, আমাদের অস্তিত্বের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এটাকে অস্বীকার করা নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করারই নামান্তর। আল্লাহপাক প্রত্যেক মানুষকেই স্ব স্ব ভাব প্রকাশের ক্ষমতা দিয়েছেন। এই ভাবপ্রকাশের পদ্ধতি দুটি। প্রথমতঃ মুখের দ্বারা, দ্বিতীয়তঃ লিখনীর দ্বারা। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আ'লামীন যুগে যুগে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাঁর রাসূল পাঠিয়েছেন। এসব সম্মানিত বার্তাবাহকগণ যাঁরা যে এলাকার জন্যে প্রেরিত হয়েছিলেন সেই এলাকার ভাষায় ছিল তাদের মাতৃভাষা। তারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলেছেন, দ্বীন প্রচার করেছেন এবং প্রেরিত কিতাবসমূহ আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলদের নিকট মাতৃভাষায় অবতীর্ণ করেছেন। এই সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন "আমি প্রত্যেক রাসূলকে তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি তাদের নিকট পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য। অতঃপর আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন যাকে চান এবং পথ দেখান যাকে চান। তিনি মহা সম্মানিত, প্রজ্ঞাময় (সূরা ইব্রাহীম -৪)।

প্রত্যেক মুসলমানের উচিত মানুষকে মাতৃভাষায় দ্বীনের পথে আহবান করা। যাতে করে মানুষ দ্বীনের কথা গুলো সহজে বুঝতে পারে। আর এটাও একটা হেকমত ও দাঈ ইলাল্লাহর গুণ যা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করেছেন, "তুমি তোমার রবের পথে হেকমত ও সুন্দর উপদেশ এর মাধ্যমে আহবান করো এবং বিতর্ক করো পছন্দ যুক্ত পন্থায়" (সূরা নাহল -১২৫)।

তিনি বলেন, ইসলাম উদার দৃষ্টিভঙ্গি ধর্ম, যা মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনসহ পৃথিবীর সকল ভাষার প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করে। তাই আসুন আমরা আমাদের বাংলাভাষাকে সহি শুদ্ধভাবে বলা ও লেখার চর্চা করি এবং ভাষা আন্দোলনের মাস একুশে ফেব্রæয়ারি বাংলা ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রূহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করছি। আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন। আমিন।

ঢাকার গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী আজ জুমার বয়ানে বলেন, ভাষা আল্লাহর মহিমার এক উজ্জ্বল নিদর্শন। মাতৃভাষা বা মায়ের ভাষা। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধের শিক্ষা দিয়েছে, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। মহান আল্লাহ সব নবী-রাসূলকে স্ব-জাতির ভাষাভাষী করে প্রেরণ করেছেন। যাতে তারা স্বীয় জাতিকে দ্বীনের দাওয়াত স্পষ্টভাবে পৌঁছাতে পারেন। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে আমি রাসূলগণকে তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করে প্রেরণ করেছি, যাতে তাদের (দ্বীন) স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন। সূরা ইবরাহিম: ৪। রিসালাতের দায়িত্ব পালনের জন্য আল্লাহ মাতৃভাষাকে অপরিহার্য করেছেন। মৌলিকভাবে আল্লাহর বাণী সর্বকালের, সব স্থানের ও সব মানুষের জন্য এক ও অভিন্ন। তার কালাম পবিত্র ও স্থায়ী। আল্লাহ তায়ালা দাউদ (আ.) কে জাবুর কিতাব দিয়েছিলেন। যেহেতু তার লোকেরা ইউনানি ভাষায় কথা বলত তাই তার প্রতি নাজিলকৃত কিতাব ইউনানি ভাষায় ছিল। মূসা (আ.) কে ইসরাইলদের ভাষায় হিব্রæতে তাওরাত দেয়া হয়েছিল। ঈসা (আ.) কে সুরিয়ানি ভাষায় ইঞ্জিল দেয়া হয়েছিল। আরবি ভাষাভাষীদের মধ্যে প্রেরিত হন মুহাম্মদ (সা.)। তাই তাকে আল কোরআন আরবি ভাষায় দেয়া হয়। যদিও তিনি সর্বকালের ও সর্বস্তরের জন্য, তবুও তার মাতৃভাষায় আল্লাহর কালাম এ জন্য নাজিল করা হয় যাতে তিনি তার সমকালীন লোকদের তাদের বোধগম্য ভাষায় আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিতে পারেন। আরবি ভাষাভাষীদের কাছে মহাগ্রন্থ কোরআনকে রাসূল (সা.) অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ ও প্রচার করেন। যখন অনারবদের কাছে সাহাবায়ে কেরাম কোরআন নিয়ে উপস্থিত হন তখন তারা স্থানীয় লোকদের ভাষায় কোরআনের মর্ম পেশ করেন। কেননা কোরআন অনুসরণের জন্য যদি কেউ না বোঝে, তার পক্ষে অনুসরণ সম্ভব নয়। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমি আরবদের মধ্যে সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও প্রাঞ্জলভাষী। ’ রাসূলের এ বাণী থেকে প্রমানিত হয়; বিশুদ্ধ ও প্রাঞ্জল মাতৃভাষায় কথা বলার যোগ্যতা অর্জন করা রাসূল (সা.)-এর আদর্শ। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি আমাদের ভাষার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। মরিয়া হয়ে উঠেছিল উর্দূকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে। তাদের এই অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে বাংলাভাষাভাষীরা গড়ে তুলেন তীব্র আন্দোলন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি সংগ্রামরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন বরকত, সালাম, জব্বার, শফিক ও রফিকসহ নাম না জানা আরও অনেক বীর সন্তানেরা। এভাবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান বা শাহাদত বরণের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। খতিব বলেন, মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার দীপ্ত শপথে উৎসর্গকৃত তাজা রক্তের বদৌলতে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে এবং রক্তে রঞ্জিত ২১ ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদায় ভূষিত হয়। আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনা সৃষ্টিতে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনই প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে। ভাষা আন্দোলনের এই গৌরবোজ্জ্বল রক্তিম ইতিহাস জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে যুগ থেকে যুগান্তরে এটি আমাদের প্রত্যাশা।

বায়তুল হারামের খতিব মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা আজ জুমার বয়ানে বলেন, আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি জাতি ও অঞ্চলের মানুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাষা দিয়েছেন। আর সকল অঞ্চলের মুসলমানদের জন্য মাতৃভাষার পাশাপাশি ওহীর ভাষা আরবি জানাকেও বাধ্যতামূলক করেছেন। কেননা তিনি ওহী তথা কোরআন নাজিলের জন্য আরবি ভাষাকে চয়েজ করেছেন। এজন্যই রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা আরবিকে তিন কারণে ভালবাস। প্রথমত আমি তোমাদের নবী আরবি ভাষার দ্বিতীয়ত কোরআনুল কারিম তথা ওহী নাজিল হয়েছে আরবি ভাষায় তৃতীয়ত আর জান্নাতের ভাষাও আরবি। রাসূল (সা.) আরো বলেছেন, আমি আমার মাতৃভাষা আরবদের মধ্যে সবচেয়ে বিশুদ্ধভাবে বলি। তাহলে মাতৃভাষা বিশুদ্ধভাবে জানা ও বলা সুন্নাত। আমরা বাংলাদেশিদের মাতৃভাষা বাংলা, এছাড়াও বিশ্বে আরও বাংলাভাষি মানুষ রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ কোটি মানুষের ভাষা বাংলা। আল্লাহ আমাদের মাতৃভাষা দিয়েছেন বাংলা আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের এই ভাষার রয়েছে ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এ ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। যারা নিজের অধিকার রক্ষার জন্য জীবন দেয় ঈমানদার হলে তারা শহীদের মর্যাদা পাবে বলে রাসূল (সা.) সুখবর দিয়েছেন। বাংলাভাষা আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্ত আমরা বিশুদ্ধ বাংলাতো বলিনা এর চর্চাও করিনা। অথচ বিশুদ্ধ মাতৃভাষা বলা সুন্নত।
আর একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের ধর্মীয় ভাষা তথা কোরআন ও হাদিসের ভাষা আরবি জানা অপরিহার্য। কেননা পরকালের ভাষা আরবি, নামাজের ভাষা আরবি, আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানের ভাষা আরবি, জান্নাতের ভাষা আরবি, আমাদের নবী (সা.) আরবি। সেজন্য বিশুদ্ধ আরবি জানা জরুরি। বিশুদ্ধ মাতৃভাষা চর্চা করার ও আরবি ভাষা তথা পরকালের ভাষার প্রতিও আমাদের গভীর মনোযোগ দেয়া ঈমানি দায়িত্ব। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন। আমিন।

মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, তাওহীদ তথা মহান আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দেয়া গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন যেন তারা মানুষকে মহান রবের একত্ববাদের দিকে আহবান করেন। তিনি তাদেরকে স্বজাতির ভাষাভাষী করেছেন। যাতে বিশুদ্ধ ও প্রাঞ্জল ভাষায় তারা মানুষের কাছে একত্ববাদের অমীয় বাণী পৌঁছাতে পারেন এবং মানুষেরাও তাদের সেই আহবান স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, আমি সব রাসূলকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করে প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে স্পষ্টভাবে (ধর্মীয় বিধান) বুঝাতে পারেন। (সূরা ইবরাহিম: ৪)। কোরআনে কারীমের এ আয়াত থেকে ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব স্পষ্ট হওয়ার সাথে সাথে দ্বীনের পথে আহবানকারীদের জন্য মাতৃভাষায় পারদর্শিতা অর্জনের বিশেষ নির্দেশনাও পাওয়া যায়। মাতৃভাষা আল্লাহর দেয়া অনুপম নিদর্শন এবং শ্রেষ্ঠ দান। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সৃষ্টিগত অভ্যাস। তাই ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসার শিক্ষা দিয়েছে, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। নবীজী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, "আমি আরবদের মধ্যে সব চেয়ে বিশুদ্ধ ও প্রাঞ্জলভাষী।" বিশ্বনবীর এ বাণী দ্বারা বিশুদ্ধ ও প্রাঞ্জল মাতৃভাষায় কথা বলার যোগ্যতা অর্জনের গুরুত্ব বুঝা যায়। খোদাদ্রোহী শাসক ফেরাউনের (সেকেন্ড র‌্যামেসীস) কাছে একত্ববাদের দাওয়াত পৌঁছাতে হযরত মুসা (আ.) স্বীয় ভ্রাতা হযরত হারুন (আ.) কে সহযোগী হিসেবে পেতে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। কারণ হযরত হারুন (আ.) স্বজাতির ভাষায় দক্ষ ছিলেন। খুব সুন্দর স্পষ্ট ও প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলতে ও বুঝাতে পারতেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, "(হে আমার রব) আমার ভাই হারুন আমার চেয়ে সুন্দর ও স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে। সুতরাং তাকে আমার সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবে প্রেরণ করুন।" (সূরা ক্বাসাস: ৩৪)। খতিব আরও বলেন, মাতৃভাষা বাংলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও যতœবান হওয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। কারণ, এ ভাষা আল্লাহ দেয়া ভাষা বৈচিত্রের অংশ এবং তাঁর কুদরতের অনন্য সৌন্দর্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, "তাঁর আরেকটি নিদর্শন হচ্ছে, নভোমÐল ও ভূ-মÐলের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র। নিশ্চয় এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।" (সূরা রুম: ২২)। এ আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয়, আমাদের মাতৃভাষা বাংলাও মহান আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এ ভাষার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনসহ যতœশীল হওয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও যতœবান হওয়ার নির্দেশনায় শামিল। খতিব বলেন, আসুন ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এই মাসে বিশুদ্ধ মাতৃভাষা চর্চার দীপ্ত শপথ নিই। পরিহার করি ভিনদেশী ভাষাকে ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে শাহাদতবরণকারী বীর সন্তানদের রূহের মাগফিরাত কামনা করি। আল্লাহর দেয়া নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন। আমীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন