গাজীপুরের শ্রীপুর থানা পুলিশ গত বুধবার দিনগত রাতে শ্রীপুর হাসপাতাল থেকে সুফিয়া খাতুন (১৮)’র লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের স্বজনদের দাবি সুফিয়াকে ২য় স্বামী আশিক (১৮) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে হাসপাতালে লাশ রেখে পুলিশে খবর দিয়েছে। নিহত সুফিয়া শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। সে ভাঙনাহাটি গ্রামের সওফটেক্স নামক পোশাক কারখানায় চাকরি করত। নিহতের স্বামী আশিক, পিতা বাশার, সাং রাজাপুর, থানা বেলকুচি, জেলা সিরাজগঞ্জ। সে ছাপিলাপাড়া এলাকায় ভাড়া থেকে একই কারখানায় চাকরি করে। নিহতের স্বজনরা জানায়, একবছর আগে সুফিয়ার সাথে একই এলাকার ডালেশহর গ্রামের মোকারমের বিয়ে হয়। সুফিয়া শ্রীপুর পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রামের সওফটেক্স নামক পোশাক কারখানায় চাকরি করত। চাকরির সুবাধে সহকর্মী আশিকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে সুফিয়া। গত ১১ জানুয়ারি সুফিয়া বেতন আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এ বিষয়ে সুফিয়ার স্বামী মোকারম ওই দিনই শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নিহতের বড় ভাইয়ের স্ত্রী ফাতেমা জানান, নিখোঁজ হবার ক’দিন পর সুফিয়া তাদেরকে ফোন করে জানায়, সে তার প্রেমিক আশিকের সাথে চলে গেলে। তাকে বিয়ে করেছে। নিহতের বড় ভাই সোহেল জানান, গতকাল ভোররাত তিনটার দিকে পুলিশ তাদের আনসার রোডের ভাড়া বাসায় গিয়ে হাসপাতালে আসতে বলে। পুলিশের সাথে হাসপাতালে এসে সুফিয়ার লাশ দেখতে পান।
নিহতের মা অভিযোগ করে বলেন, আশিক আমার মেয়ের সংসার ভেঙেছে। তাকে নিয়ে গোপনে বিয়ে করেছে। এখন আমার মেয়েকে হত্যা করেছে, আমি এর বিচার চাই। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান শেখ জানান, খবর পেয়ে রাতেই শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের ময়নাতদন্তে তাজউদ্দিন মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, নিহতরা খুব গরিব মানুষ। স্থানীয়ভাবে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন