কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষক হায়াতুন নবী হতু উপজেলার হেসাখাল পূর্বপাড়া ভেন্ডার বাড়ির এনায়েত উল্লাহর ছেলে। ধর্ষণের ঘটনা জানা জানি হওয়ার পর পরিবারের জেরার মুখে ধর্ষক হায়াতুন নবী হতু ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে বালে জানান স্থানীয় সমাজপতিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হেসাখাল গ্রামের পূর্বপাড়ার ভেন্ডার বাড়ির এনায়েত উল্লাহর ছেলে ওয়ার্কসপ মেস্ত্রী হায়াতুন নবী হতু গত এক বছর পূর্বে বিয়ে করে।
তার স্ত্রী ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। হায়াতুন নবী হতু গত ৭ মাস পূর্বে একই গ্রামের ১৩ বছরের এক কিশোরিকে তার বাবার ফসলী জমিতে একা একা কাজ করতে দেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয় বলেও জানান ধর্ষিতার মা। ধর্ষিতা প্রাণ ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। পরে গত ১৫ দিন পূর্বে ধর্ষিতার মা তার মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে জানতে চাইলে সে হায়াতুন নবী হতুর হাতে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। ধর্ষিতার পরিবার তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে শিশুটি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়। ঘটনা জানাজানি হলে সামাজিকভাবে ধর্ষক হতুকে জিজ্ঞাসা করলে সে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে।
ধর্ষিতা শিশুর মা বলেন, আমার মেয়েকে আমাদের ফসলী জমিতে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে হত্যার হুমকি দেয় হায়াতুন নবী হতু। এখন আমার মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ধর্ষণে অভিযুক্ত হায়াতুন নবী হেতুর মা বলেন, ওই মেয়ের সবগুলো বোন খারাপ। তাদের কাছে সবসময় বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক পুরুষ আসে। তারা এখন ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
অভিযুক্ত হতুর চাচা শহীদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সত্য। এখন আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সমাজপতিদের নিয়ে বসে সমাধান করার চেষ্টা করছি। সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে আমি কিছু বলতে পারবো না।
এ ব্যাপারে হেসাখাল ইউনিয়ন নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, বিষয়টি জেনেছি। একটি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন