বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নীলফামারীর সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু

জেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোশাররফ হোসেন, নীলফামারী থেকে

ডিসেম্বরে জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘোষণার সাথে সাথেই নীলফামারীতে শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ছাড়াও জেলার সার্বিক উন্নয়নে জেলা পরিষদের নিবিড় যোগসূত্র থাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হককে প্রশাসক নিয়োগের করে গত প্রায় ৬ বছর থেকে নীলফামারী জেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে এবার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশার তালিকা দীর্ঘ হয়েছে। যোগ হয়েছে নতুন নতুন মুখের। অনেকে বিভিন্নভাবে গণসংযোগ করার পাশাপাশি জোড়ালো লবিংয়ে এখন ব্যস্ত। ঘনঘন ঢাকামুখী হচ্ছেন কেউ কেউ। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র জানায়, এবার দলীয় সমর্থন প্রদানে বিগত সময়ের সবকিছুই আমলে নেয়া হবে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোক্ষম ভোটার হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা হওয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের আগের অনেক ঘটনাই এখন চাউর হয়ে উঠেছে। তাই দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে হিসাব-নিকাশের ভুল হলে খেসারত দিতে হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ধারণা। এদিকে জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জেলার সার্বিক উন্নয়নে ডোমার-ডিমলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা জাপা সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি এলাকায় সরল মনের অধিকারী হিসেবে পরিচিত জাফর ইকবাল সিদ্দীকীকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়াম্যান পদে প্রার্থী দেয়ার জোরালো দাবি জানিয়েছেন। তবে জাফর ইকবাল সিদ্দীকী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না বলে জানা গেছে। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বা সমর্থন কে পাবেন এ নিয়ে জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। বর্তমান প্রশাসক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক ছাড়াও, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ মমতাজুল ইসলাম মিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপ্পিও দলীয় সমর্থন চাইবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া সাবেক উপসচিব মুক্তিযোদ্ধা একেএম আমিনুল ইসলামও চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে বসে নেই সম্ভাব্য কাউন্সিলার বা জেলা পরিষদ সদস্য পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। এরইমধ্যে নির্বাচনী গণসংযোগে নেমেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক শামিমা রহমান, জেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তনা চক্রবর্ত্তী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক দীপক চক্রবর্ত্তী, ৫নং ওয়ার্ড পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম শানু, ৮নং পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান বিপ্লব, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সুহিন আনছারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সৈয়দপুরের মমিনুর রহমান, জিকো আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, ডোমারের আশাদুজ্জামান চয়ন, আব্দুল মালেক সরকার, জলঢাকার ছাইদুর রহমান, ছাদেক আলী, এমদাদুল হক, মুকুল চেয়ারম্যানসহ অনেকেই গণসংযোগে নেমেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন