লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মধ্য চররমনী গ্রামে গত সোমবার বিকেলে যৌতুক না পেয়ে হাত-পা বেঁধে এক গৃহবধূকে (২০) বেদম মারধর করা হয়েছে। মারধরের একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর মাথার এক অংশ ন্যাড়া করে দেয় স্বামী মো. হাসান ও ননদ পাখি বেগম। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, তিন বছর আগে লক্ষ্মীপুরের মধ্য চররমনী গ্রামের মো. কাঞ্চনের ছেলে হাসানের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। হাসান পেশায় জেলে। বিয়ের পর থেকে কারণে-অকারণে হাসান তার স্ত্রীকে মারধর করত। প্রায়ই তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব লেগে ছিল। গত রোববার সন্ধ্যায় যৌতুকের জন্য হাসান ও তার বোন পাখি বেগম ওই গৃহবধূকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। হাত-পা বেঁধে রাতভর মারধর শেষে একপর্যায়ে তার মাথার এক অংশের চুল কেটে দেয়। পরে হাত-পা বাঁধা অবস্থাতেই তাকে রেখে স্বামী পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে গত সোমবার বিকেলে ইউপি সদস্য মনির ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। ওই গৃহবধূ বলেন, হাসান আমার পরিবারের কাছ থেকে আগে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়েছে। এখন আবার তিন লাখ টাকা দেয়ার জন্য মা-বাবার কাছে বলতে আমাকে চাপ দেয়। টাকা চাইতে পারব না ও তাকে কোনো টাকা দেয়া হবে না বললেই আমাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। পরে আমার মাথার সামনের চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করি। তার স্বামী পালিয়ে গেছে।
গৃহবধূর পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাদের জানায়নি। ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন