ঘরে-বাইরে, কর্মে ও গুণে, প্রতিদিনের জীবন-প্রয়াসে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। আমাদের সভ্যতার উত্থানে, জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষে পুরুষের চাইতে তাদের অবদান কোনোভাবেই কম নয়। তবে এর মাঝেও কিছু নারী শ্রম, মেধা ও কীর্তিতে হয়ে ওঠেন অগ্রগণ্য। কীর্তির আলোয় তারা নিজেদের পাশাপাশি আলোকিত করে তোলেন আশেপাশের আরো অনেকের জীবন। গত পনেরো বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা এমনই কীর্তিমতীদের খুঁজে বের করছে ‘রাঁধুনী’। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রেক্ষাপটে প্রতিবছর তাদের অবদানকে সম্মানিত করছে বিশেষ ‘রাঁধুনী কীর্তিমতী সম্মাননা’ প্রদানের মাধ্যমে। সারাদেশ থেকে চার (০৪) টি ক্ষেত্রের চার (০৪) জন সফল নারীকে খুঁজে বের করে তাদের অর্জিত সাফল্য এবং তার পেছনকার কর্মপ্রয়াসকে সম্মাননা জানানোর এই ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে— সাংবাদিকতা (কীর্তিমতী সাংবাদিক), ব্যবসায় উদ্যোগ (কীর্তিমতী উদ্যোক্তা), সমাজ উন্নয়ন (কীর্তিমতী হিতৈষী) এবং ক্রীড়া (কীর্তিমতী ক্রীড়াবিদ)। উত্তরোত্তর নারীদের সংগ্রামে, সফলতায় অভিবাদন জানিয়ে আরো বেশি করে নারীর জীবন-বাস্তবতার পাশে থাকতে এ বছরও শুরু হচ্ছে কীর্তিমতীদের খোঁজার অভিযান— রাঁধুনী কীর্তিমতী সম্মাননা ২০২১। আর এবারের প্রয়াসে ‘রাঁধুনী’ পাশে চায় আপনাকেও। কারণ রাঁধুনী বিশ্বাস করে অদম্য কীর্তিতে এগিয়ে থাকা কোনো না কোনো কীর্তিমতী নারীকে আপনিও চেনেন। আশেপাশে আমাদের সকলের পরিচিত গণ্ডিতেও আছেন মানবকল্যাণ, ক্রীড়াক্ষেত্র, সাংবাদিকতা ও ব্যবসায় উদ্যোগে অসামান্য অবদান রাখা নারীরা। তাদের কথাই লিখে জানাতে হবে আমাদের। কারণ প্রকৃত কীর্তিমতীরা নিজেদের কীর্তি নিয়েই ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসেন। তাদের কীর্তির কথা জানানোর দায়িত্ব তার আশেপাশের মানুষেরই। আমরা যদি আমাদের পরিচিত কীর্তিমতীদের কথা না জানাই, তবে কে জানাবে? আপনার-আমার এই ছোট্ট উদ্যোগেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে তাদের প্রেরণাদায়ী কীর্তির গল্প। একইসাথে ছড়িয়ে পড়বে আপনার অঞ্চলের সুনাম। পাশাপাশি আপনার জানানো কীর্তিমতীর কর্মের প্রেরণায় দেশজুড়ে জন্ম নেবে আরো অসংখ্য কীর্তিময় প্রয়াস। কীর্তিমতীদের মনোনয়নের জন্য ভিজিট করুন www.radhunikirtimoti.com । মনোনয়ন পাঠানোর শেষ তারিখ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
যে যে ক্ষেত্রে মনোনয়ন আহ্বান করা হচ্ছে:
কীর্তিমতী সাংবাদিক: নির্ভীক, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিক, যিনি সমাজের অনিয়ম, সমস্যা, দুর্নীতি বা অসংগতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখেছেন, কিংবা লেখায় উঠে এসেছে অবহেলিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন-সংগ্রাম বা সম্ভাবনার চিত্র, নেপথ্য ভূমিকা রেখেছেন শিক্ষা, সংস্কৃতির উন্নয়নে।
কীর্তিমতী উদ্যোক্তা: প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা, যার একক ব্যাবসায়িক উদ্যোগে নিজের পাশাপাশি আশেপাশের মানুষের কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এলাকার আর্থ-সামাজিক পটপরিবর্তনে যিনি বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।
কীর্তিমতী হিতৈষী: বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, যিনি নিঃস্বার্থভাবে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। অসহায়, বঞ্চিত কিংবা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য যার ত্যাগ ও শ্রম সমাজে মহতী দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
কীর্তিমতী ক্রীড়াবিদ: স্থানীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়াবিদ হিসেবে স্বীকৃত ব্যক্তিত্ব, যেকোনো ক্রীড়ায় যিনি অসামান্য কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন। যার কীর্তি ও অর্জন ক্রীড়াজগত এবং এর বাইরের আরো অসংখ্য মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
কীর্তিমতী সম্মাননার পূর্ববর্তী আয়োজন এবং সম্মাননাপ্রাপ্ত কীর্তিমতীদের সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন রাঁধুনী বাংলাদেশ-এর ইউটিউব চ্যানেলে। কিংবা বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন রাঁধুনী-র ফেসবুক পেইজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন