শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

কিশোরগঞ্জ উপজেলার সড়ক সম্প্রসারণ কাজে অনিয়ম

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২২, ১২:০৪ এএম

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত একহাজার মিটার সড়ক সম্প্রসারন কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তদারকি কর্মকর্তার অনুপুস্থিতিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গাড়াগ্রাম ডিসির মোড় ময়দানের ব্রিজ হতে গনেশের বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ কাজে এলাকাবাসী এমন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। তবে তদারকি কর্মকর্তা জগোবন্ধু রায় বলেন, কাজে কোন অনিয়ম হচ্ছেনা, নীতিমালা মেনে কাজ চলছে।
জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে এলজিইডির অধীনে প্রায় ৭২ লাখ টাকা ব্যায় করে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ডিসির মোড় ময়দানের ব্রিজ হতে গনেশের বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণ কাজের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পান নীলফামারীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দেলোয়ার এন্টারপ্রাইজ। কাজ শুরুর আগে প্রকল্প এলাকায় কাজের তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপনের নিয়ম থাকলে তা করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। মাহিন্দ্র ট্রাক্টরে করে সড়ক নির্মাণ কাজের জন্য ইটের খোয়া এনে সড়কের বেডে ফেলা হচ্ছে। এসময় সড়ক নির্মাণ কাজে তদারকি কর্মকর্তা উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তদারকি কর্মকর্তাকে চোখে পড়েনি। এমনকি প্রকল্প এলাকায় তথ্য সংবলিত কোন সাইনবোর্ড চোখে পড়েনি।
প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা মাজেদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি আগে থেকেই পাকা ছিল। নতুন করে সড়কের দুপাশে বর্ধিতকরন করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী সড়কের দু’পাশে বেড কাটিং করার পর আগে বালু দিয়ে সঠিকভাবে মজবুতিকরণ করতে হবে। কিন্তু ঠিকাদার তা না করে পরিমানের চেয়ে কম বালু ফেলে তড়িঘরি করে যেনতেনভাবে মজবুতিকরণ করছে। এতে করে কাপেটিংয়ের কয়েকদিনের মাথায় সড়ক ধসে গিয়ে কাপেটিং উঠে যেতে পারে।
গনেশের বাজারের বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, সড়কটির নির্মাণ কাজে সড়কের দু’পাশে এজিংয়ে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। সড়কে পানি ছিটিয়ে রোলিং করার নিয়ম থাকলেও তা করছেনা ঠিকাদার। এছাড়াও ডাব্লিউভিএম কাজে নিম্নমানের খোয়া এবং মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে সড়কের স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সড়ক নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা জগোবন্ধু রায় বলেন, সড়কটির নির্মাণ কাজে নিম্নমানের কোন সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে না। সড়কের দু’পাশে বর্ধিতকরন অংশে ঠিকভাবে রোলিং হচ্ছে না। প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ঠিকাদারকে এ বিষয়ে সর্তক করা হয়েছে। তাছাড়া সড়কটির নির্মাণ কাজ এলজিউডির উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন অনিয়ম হলে তাড়াই ব্যবস্থা নেবে।
সড়ক নির্মাণ কাজের ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট আনলে আমার বেশি ক্ষতি। তাছাড়া ইট আনার সময় ভাটা থেকে কিছু খারাপ ইট আসতে পারে। সড়কের দুপাশে বর্ধিত অংশে ঠিকভাবে রোলিং হচ্ছে না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, দু’পাশে যে অংশটুকু বাড়ছে তা রোলিং করা খুব কষ্টকর। তারপরও চেষ্টা করছি ঠিকভাবে রোলিং করার।
উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি এখন মিটিংয়ে আছি পরে আসেন। পরে ওনার অফিসে গিয়ে না পেয়ে মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন