কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মুর্শেদা খাতুনের বিরুদ্ধে কোর্টে একটি স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা করেন। মামলার বাদী আব্দুল মান্নান স্বপন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলা দায়রা জজ মামলাটি দুদক ময়মনসিংহকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, জহর লাল সূত্রধর (৫৮) অফিস সুপার ইউএনও অফিস বাজিতপুর, মো. মাহফুজুল হাসান (৩৩) ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা দিলালপুর তহসিল, মো. সাব্বির আহমেদ (৩১) অফিস সহায়ক ইউএনও অফিস বাজিতপুর।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আব্দুল মান্নান স্বপন উচ্চ বিদ্যালয় তালুকদার বাবু মিয়া কবরস্থান সংস্কারের জন্য তার নিজ ভূমি হতে বালু উত্তোলন করার কারণে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. মুর্শেদা খাতুন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আব্দুল মান্নান স্বপনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। আব্দুল মান্নান স্বপন সাথে সাথে অর্থদণ্ড ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেন। পরবর্তীতে আব্দুল মান্নান স্বপন উক্ত আদাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট কোর্টে আপীল করেন। আপীল নং ১৬০/২০২১। বিজ্ঞ আদালত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম মোস্তফা আপিলটি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি যথা নিয়মে পরিচালিত হয় এবং অর্থদণ্ড ফেরতের জন্য বাজিতপুর নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর ৭ (১) ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ২ জন স্বাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাক্ষর পর্যালোচনা করে দেখা যায় আব্দুল মান্নান স্বপন মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৭ (২) ধারা মোতাবেক অভিযুক্ত ব্যক্তির দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে তার স্বাক্ষর বা ক্ষেত্র মতে টিপসই গ্রহণ করা হয়নি। অপরাপর আসামিরা নিজ পদ পদবী গোপন রেখে আব্দুল মান্নান স্বপনের স্বাক্ষর জাল করেন। এ ব্যাপারে আব্দুল মান্নান স্বপন উক্ত মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ১/২০২২। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ আদালত দুদক ময়মনসিংহকে তদন্ত করার নিদের্শ দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মুর্শেদা খাতুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন নথি আমি হাতে পাইনি। কাগজপত্র হাতে পেলে এ বিষয়ে দেখবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন