কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। ভেঙে যাওয়া কালভার্টটি দিয়ে দিনে-রাতে মানুষ ও যান চলাচলের সময় ঘটেছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ভেঙেপড়া স্থানে নেই কোন বিপদ সংকেত চিহ্ন। ফলে কালভার্টটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দুর্ঘটনার আশংকা নিয়ে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীসহ আশপাশের সকল জনগনকে এ ভাঙা কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অতিদ্রুত নতুন একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবিও জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর-গনর্ধ্বপুর পাকাসড়কে সরকারপাড়ার বড় জামে মসজিদের সামনের কালভার্টটির মাঝের অংশটির ছাদ ভেঙে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। দূর থেকে গর্তটি অনুমান না হওয়ার ফলে রাস্তায় চলাচলের সময় অনেক অজানা মানুষ ও যানবহান প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় লোকজন গর্তের মাঝে কাঠের গুল দিয়ে রেখেছে।
স্থানীয় সরকার পাড়ার বুলবুল, বকুল, সবুজসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ১০ থেকে ১২ দিন পূর্বে মিঠাপুর থেকে গনর্ধ্বপুরের রাস্তায় এলজিডির রাস্তার কাজে নিয়োজিত ইট বোঝাই টাক্টর প্রায় যাতায়াত করলে সরকার পাড়ার কালভার্টটি ফাটল ধরে। পরবর্তীতে স্থানীয় ইটভাটার ইট বহনকারী ট্রাক্টর যাওয়ার সময় কালভার্টটি ফেটে দেবে যায়।
গাড়ি চালক গুলজার বলেন, কালভার্টাট ভেঙে যাওয়ার ফলে এ সড়ক দিয়ে আর কোনো প্রকার যানবহান চলাচল করতে পারছে না। ২ কি.মি. পথ ঘুরে বিকল্প পথ দিয়ে যানবহান নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ সড়ক দিয়ে ভেরেন্ডিহাট, গনর্ধ্বপুর ও জামালগঞ্জে যাতায়াতের একমাত্র সহজ রাস্তা এটি। এ সড়ক দিয়ে কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি দাখিল মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করেন।
এ ব্যাপারে মিঠাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন বলেন, গ্রামীণ এলজিডির সড়কের মাঝের কালভার্টটি পুরাতন ছিল। এডিপির বরাদ্দকৃত স্বল্প অর্থের মাধ্যমে পূর্বে স্থানীয় চেয়ারম্যান কাজটি করেছিল। পুরাতন ব্রিজ হওয়াতে সেটি ভেঙে পড়েছে। এ বিষয়ে এলজিইডিকে অবগত করা হয়েছে। নতুন কালভার্ট তৈরির দাবি জানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ভেঙে যাওয়া কালভার্টটি আমি পরিদর্শন করে এসেছি। এডিপির বিশেষ বরাদ্দে দ্রুত কালভার্টটি নতুন করে তৈরি করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন