গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোরকা-হিজাব নিষিদ্ধ করায় নিজ কৃতকমের্র জন্য তওবা করে ক্ষমা চেয়েছেন বান্ধাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার মানিক। উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলার বিশিষ্ট আলেম ওলামা ও উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে তওবা পরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, গোপালপুর ইসলামিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কবিরুল ইসলাম, হিরণ ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম সাফায়াত হোসেন, কাজুলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম, মুফতি মাসউদুর রহমান, মাওলানা মোজাফফার হোসেন, মাওলানা আনসার উদ্দিন, বান্ধাবাড়ী লোহারভিটা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আ. জলিল, মাওলানা মেহেদী হাসান, মাওলানা মানজুরুল হক, মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ, কারী বশির অহম্মেদ, উপজেলা মসজিদের ইমাম মাওলানা ইলিয়াছ হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বান্ধাবাড়ী জগৎবন্ধু পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মানিক হাওয়াদার বলেন, বোরকা ও হিজাব পরে স্কুলে আসা যাবে না। এ সময় তিনি নিজ হাতে ছাত্রীদের মাথা থেকে ব্যান্ড ও ক্লিপ খুলে নেন। বিষয়টি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হলে ধর্মপ্রিয় ইসলাম তৌহিদী জনতার মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্তরে মানববন্ধন পালন ও স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা। পরে তৌহিদী জনতা তাদের ঘোষণাকৃত কর্মসূচি স্থগিত করেন।
মন্তব্য করুন