নাটোরের লালপুর উপজেলার দিলালপুর গ্রামে হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে জুয়েল আলী (২৮) নামে এক যুবককে হত্যা করেছে দৃবৃর্ত্তরা। নিহত জুয়েল আলী দিলালপুর গ্রামের মো. সাকেম আলীর ছেলে। গতকাল শুক্রবার সকালে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জুয়েল।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে ওয়ালিয়া ইউনিয়নের দিলালপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কে বা কারা জুয়েল আলীকে ধরে নিয়ে গিয়ে যায়। পরে জুয়েলের দুই পায়ের রগ কেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার বাড়ির উত্তর পাশে গম ক্ষেতের পাশে ফেলে রেখে যায় তারা। ভোরে তার চাচাতো ভাই মো. লিখন আলী খেজুর গাছ থেকে রস নামাতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায় জুয়েলকে। তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা মুমূর্ষু অবস্থায় জুয়েলকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে মারা যান জুয়েল।
খবর পেয়ে পুলিশ লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর মর্গে প্রেরণ করে ও ঘটনাস্থল পরিদর্শ করে।
নিহতের মা সায়রা বেগম জানান, ‘জমি নিয়ে একটি মামলা দীর্ঘদিন ধরে আদালতে চলছিল। আমরা তার ডিগ্রি পেয়েছি। এ জন্যই আমার ছেলেকে বাজার থেকে আসার সময় ধরে নিয়ে হত্যা করে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম বলেন, ‘ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই পায়ের ও এক হাতে রগ কেটে দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয় জুয়েলকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সকাল সোয়া ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।’
লালপুর থানার ওসি ফজলুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের সকল ইউনিট তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান ওসি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন