পাবনার চাটমোহরের হান্ডিয়ালে একটি সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের কাটা নদীতে সেতু না থাকায় বর্ষায় কর্দমাক্ত পথ মাড়িয়ে, নদী পার হয়ে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ মানুষের চলাচল প্রায় অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। দীর্ঘ দিনেও এলাকাবাসীর একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি পূরণ হয়নি। নদীতে সেতু না থাকায় এলাকাবাসীকে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে, কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চাষাবাদ করা, জমিতে সার ওষুধ ও উৎপাদিত ফসল পরিবহন, জমির ফসল ক্রয়-বিক্রয়ে পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়।
যুগ যুগ ধরে যেকোনো প্রয়োজনে নদীর পুর্বপাড়ে আসতে হলে তাদের নদীতে খেয়া পার হয়ে আসতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে কোনো মতে নরবড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে তাদের নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা ডিঙ্গি নৌকা। বিশেষ করে নবীন ও চরনবীন গ্রামে শিক্ষার্থীদের নদীর পূর্ব পাশের স্কুল ও কলেজগুলোতে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান মো. রবিউল করিম মাস্টার বলেন, সেতু না থাকায় নদী পারাপারে হান্ডিয়াল ও ছাইকোলা দুই ইউনিয়নবাসীর যাতায়াত কষ্ট কর। কাটা নদীতে সেতু না থাকায় দুই ইউনিয়বাসীর রাস্তার যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মাত্র প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা সমস্যায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যোগাযোগ করতে হয় দুই ইউনিয়নবাসীর। দীর্ঘদিন সেতু ও রাস্তার কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে গ্রামবাসী স্থানীয় সরকারের কাছে সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছে। আমি তাদের সাথে এ দাবির সাথে সহমত।
এ প্রসঙ্গে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, এ সেতু নির্মাণ হলে দুটি ইউনিয়নবাসীর সরাসরি সংযোগ স্থাপন হবে। সেতুটি নির্মাণে দ্রুত এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে একটি প্রকল্প-পরিকল্পনা পাঠানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন