মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপ সম্পাদকীয়

৭ই নভেম্বরের পটভূমি : ৩ থেকে ৬ নভেম্বরের অরাজক অবস্থা

প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোবায়েদুর রহমান
৩ নভেম্বর সকালে রেডিওর সংবাদ বুলেটিন প্রচারে অস্বাভাবিক বিলম্ব ঘটে। সংশ্লিষ্ট সকলে যখন রেডিও বাংলাদেশের এই নীরবতায় উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত ছিলেন তখন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি রুশ মিগ-২১ জঙ্গি বিমান ঢাকার আকাশে উড্ডয়ন করে এবং বার বার বঙ্গভবনের ওপর চক্কর দিতে থাকে। পরবর্তীতে জানা যায় যে, স্কোয়াড্রন লিডার লিয়াকত এই জঙ্গি বিমানটি চালনা করেন। উদ্দেশ্য, জঙ্গি বিমান দিয়ে সাঁজোয়া বাহিনীকে ভয় দেখানো এবং আত্মসমর্পণে বাধ্য করা।
এভাবে ৩ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশ সরকারবিহীন অবস্থায় চলতে থাকে। জেনারেল জিয়াউর রহমানকে সরিয়ে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ সেনাপ্রধান হন। ক্ষমতা গ্রহণের পর খালেদ মোশাররফ সংবিধান বাতিল করেন এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সামনে মোশতাক এবং পেছনে ফারুক রশীদ গ্রুপ যখন ক্ষমতা দখল করেন তখন তারা কিন্তু জাতীয় সংসদ ভেঙে দেননি এবং দেশের সংবিধান বাতিল করেননি। এখানেই ছিল তাদের ইনার কন্ট্রাডিকশন। কারণ সংবিধান এবং সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় খন্দকার মোশতাক প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন না। প্রেসিডেন্ট মুজিবের অনুপস্থিতিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ভাইস প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে স্পিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এর মধ্যে মোশাররফ-জামিল সংবিধান স্থগিত করেন এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। ৬ তারিখ সন্ধ্যায় খন্দকার মোশতাক পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করা হয়। প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি সারাদেশে সামরিক আইন জারি করেন এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বা সিএমএলএ ঘোষণা করেন। সুতরাং ইতিহাস থেকে দেখা যাচ্ছে যেÑ
১. মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বাংলাদেশের প্রথম প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক (মাত্র ৪ দিনের জন্য)।
২. বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক।
৩. ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় সামরিক অভ্যুত্থান অর্থাৎ পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে।
৪. ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ এবং কর্নেল সাফায়াত জামিল ক্ষমতা গ্রহণের পর সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গ্রেফতার করেন এবং ক্যান্টনমেন্টের একটি অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখেন।
ইতিপূর্বে বলেছি যে, ৩ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ করে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে চলছিল অনিশ্চয়তা ও অচলাবস্থা। সেই সময় সারাদেশের সেনানিবাসে ব্যাপকভাবে একটি প্রচারপত্র বিলি করা হয়। যারা এই প্রচারপত্রটি বিলি করেন তারা নিজেদের পরিচয় দেন ‘বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা’র কর্মী হিসেবে। সেই সময় দাবানলের মতো এ খবরটি ছড়িয়ে পড়ে যে, বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার চেয়ারম্যান হচ্ছেন কর্নেল আবু তাহের। ওই দিকে খালেদ মোশাররফরা ক্ষমতা গ্রহণ করার পর খালেদ মোশাররফের ভাই আওয়ামী লীগের এমপি রাশেদ মোশাররফ এবং তাদের মাতার নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে একটি মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে খালেদ মোশাররফ ও সাফায়াত জামিলের পাল্টা অভ্যুত্থানকে সমর্থন করে স্লোগান ও বক্তৃতা দেয়া হয়। এই খবরটি দৈনিক ‘ইত্তেফাক’-এর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে ব্যাংকক পৌঁছে কর্নেল ফারুক একটি বিবৃতি দেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে আওয়ামী লীগের সমর্থনে খালেদ মোশাররফ ও কর্নেল জামিলের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি অংশ পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। এটি হলো প্রো-ইন্ডিয়ান ও প্রো-আওয়ামী লীগ অভ্যুত্থান বা প্রতিবিপ্লব। ৪ নভেম্বর রাতে এবং ৫ নভেম্বর বিবিসির সকালের বাংলা বুলেটিনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে বলা হয় যে, ৩ নভেম্বর ভারতপন্থিরা ক্ষমতা দখল করেছে এবং দেশে একটি ‘প্রো-ইন্ডিয়ান ক্যু’ হয়েছে।
এসব কিছুর সম্মিলিত ফল হিসেবে সেনা ছাউনিতে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। ৫ নভেম্বর রাত ১০টার পর থেকেই বিভিন্ন চ্যানেলে ঢাকায় খবর আসতে থাকে যে কুমিল্লা, বগুড়া প্রভৃতি ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিপাহিরা ঢাকা অভিমুখে মার্চ করছে। ৬ নভেম্বর কয়েকটি ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে খবর পৌঁছে যে, কয়েকটি সেনা ছাউনি থেকে জওয়ানরা হাতিয়ারসহ ঢাকার দিকে রওনা হয়ে গেছে। ৩ নভেম্বর ক্ষমতা দখল এবং ৪ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ সত্ত্বেও ঢাকা এবং মফস্বলের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টের সাধারণ সিপাহি এবং সামরিক ছাউনির বাইরে জনতার প্রবল তৎপরতার মুখে খালেদ মোশররফ সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হন।
॥ চার ॥
এসব রাজনৈতিক তৎপরতার ফলে মাত্র ৩ দিনের মধ্যেই খালেদ মোশাররফ ও সাফায়াত জামিলের প্রতিবিপ্লব সাধারণ সৈনিক ও জনগণের আত্রমণের লক্ষ্যে পরিণত হয়। তাই দেখা যায় যে, ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় মোশতাকের পদত্যাগ এবং সায়েমের প্রেসিডেন্ট নিযুক্তি ও দেশে মার্শাল ল’ জারির পরেও শেষ রাতে সিপাহিরা অশান্ত হয়ে ওঠে এবং সেনা ছাউনি ছেড়ে বেরিয়ে আসে। তারা যেসব স্লোগান দেয় সেগুলোর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্লোগান ছিলÑ “সিপাহি সিপাহি ভাই ভাই/অফিসারদের রক্ত চাই”। জওয়ানরা ছাউনি থেকে বেরিয়ে আসে এবং প্রতিবিপ্লবের নায়ক জেনারেল খালেদ মোশাররফকে হত্যা করে। এ ছাড়া তারা কর্নেল হুদা এবং মেজর হায়দারকেও হত্যা করে। বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সিপাহিরা স্লোগান দেয়Ñ “জেনারেল জিয়া জিন্দাবাদ”, “কর্নেল তাহের জিন্দাবাদ”, “সিকিম নয়, ভুটান নয়, এ দেশ আমার বাংলাদেশ”। ঢাকা গ্যারিসনের দুর্ধর্ষ বাহিনী নবম ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল মীর শওকত আলীর নেতৃত্বে একদল সিপাহি ও অফিসার বন্দিদশা থেকে জেনারেল জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করেন। হাজার হাজার সিপাহি বিজয় ও আনন্দ উল্লাস প্রকাশের জন্য সারারাত ধরে আকাশে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। ৭ই নভেম্বর সকাল থেকে একদিকে লক্ষ জনতার পদভার ও অন্যদিকে সেনাবাহিনীর ভারী যানবাহন ও ট্যাংকের ভারে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ঢাকার রাজপথ।
পরদিন সকাল বেলা ঢাকা শহরে একটি অভূতপূর্ব দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। হাজার হাজার সৈনিক তাদের অস্ত্র এবং সিপাহি বিপ্লবের সমর্থনে স্লোগান দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই বিপ্লবী সৈনিকদের সমর্থনে লাখ লাখ জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে আসে। সিপাহি এবং জনতা সেদিন রাস্তায় আনন্দ উল্লাসে পরস্পরকে আলিঙ্গন করে। প্রতিবিপ্লবের অপর নায়ক কর্নেল সাফায়াত জামিল গ্রেফতার হন। তবে জেনারেল জিয়ার হস্তক্ষেপে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
যে খালেদ মোশাররফ এবং শাফায়াত জামিল প্রধান বিচারপতি সায়েমকে প্রেসিডেন্ট বানিয়েছিলেন, তাদের অন্তত তিনজন অর্থাৎ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা এবং মেজর হায়দার বিপ্লবী সিপাহিদের হাতে নিহত এবং অপরজন অর্থাৎ ব্রিগেডিয়ার শাফায়াত জামিল গ্রেফতার হওয়ার ফলে প্রেসিডেন্ট সায়েম নিজেকে অত্যন্ত অসহায়বোধ করেন।
জেনারেল জিয়াউর রহমানের মনে তখন ভিন্ন চিন্তা কাজ করছিল। সেনাবাহিনী এবং জনতার মধ্যে অভূতপূর্ব বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়েছে, এটি একদিকে তার কাছে ছিল আনন্দের সংবাদ। অন্যদিকে সাধারণ জওয়ানরা ব্যারাক ছেড়ে অস্ত্র নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে, এটি আইন-শৃঙ্খলার দৃষ্টিতে উদ্বেগের সংবাদ। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে আগে যেটি করণীয় সেটি হলো সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে আনা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা। ৭ই নভেম্বর আর্মি হেডকোয়ার্টারে সিএমএলএ ও প্রেসিডেন্ট জাস্টিস সায়েমের সভাপতিত্বে সামরিক জান্তার সভা হয়। ওই সভায় দেশ পরিচালনার জন্য জেনারেল জিয়া, নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল এডমিরাল এমএইচ খান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এম জি তাওয়াবকে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক (ডিসিএমএলএ) নিয়োগ করা হয়। তিন বাহিনী প্রধানের সক্রিয় সহযোগিতায় এবং সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়ার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে রাজপথে অবস্থানকারী সশস্ত্র সৈনিকগণকে অবিলম্বে ব্যারাকে ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়। কি আশ্চর্য, রাজপথে অবস্থানকারী সৈন্যরাও তাদের বাহিনী প্রধানদের নির্দেশে ব্যারাকে ফিরে যায়। এভাবেই সেইদিন মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রতিটি বিভাগে ‘চেইন অব কমান্ড’ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
॥ পাঁচ ॥
৭ই নভেম্বর সম্পর্কে ‘বাংলা পিডিয়া’ যে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছে সেটি নি¤œরূপ : ঢাকার ব্রিগেড কমান্ডার কর্নেল শাফায়াত জামিলের সহায়তায় ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ ৩ নভেম্বর সামরিক অভ্যুত্থান ঘটান। তখন খালেদ মোশাররফ জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন এবং তাকে গ্রেফতার করেন। তিনি নিজেই নিজেকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি ঘোষণা দেন এবং কর্নেল শাফায়াত জামিলকে ব্রিগেডিয়ার হিসেবে প্রমোশন দেন।
৩ নভেম্বর থেকে ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত অবিশ্বাস্য দ্রুততার সাথে যে রুদ্ধশ্বাস ঘটনাবলি ঘটে গেছে এতক্ষণ ধরে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করলাম। এই বর্ণনা দেয়ার সময় নিজের বিবেকের কাছে সৎ থাকার চেষ্টা করেছি। এসব ঘটনা সম্পর্কে আমার নিজস্ব অভিমত ও ব্যাখ্যা অবশ্যই আছে। কিন্তু আমার সেই অভিমত এই বর্ণনাকে প্রভাবিত করতে পারেনি। আমরা সকলেই একদিন এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাব। কিন্তু আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি থেকে যাবে। তাই অত্যন্ত নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে ওই ৫ দিনের ঘটনাবলি বর্ণনার চেষ্টা করেছি। যারা পরিণত বয়সে ওইসব ঘটনা অবলোকন করেছেন তারা সেসব ঘটনার জীবন্ত সাক্ষী। তারা তাদের দেখা ঘটনাবলির সাথে আমার এই বর্ণনা মেহেরবানি করে মিলিয়ে দেখবেন। আমি ওইসব ঘটনায় কোনো রং চড়িয়েছি কিনা সেটাও তারা অনুগ্রহ করে খতিয়ে দেখবেন।
তিন বাহিনীর তিন প্রধান পরবর্তী এক বছর ১২ দিন পর্যন্ত যৌথভাবে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বা ডিসিএমএলএ হিসেবে কাজ করেন। এক বছর ১২ দিন পর জেনারেল জিয়া ১৯৭৬ সালের ১১ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট সায়েম কর্তৃক প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত হন। উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত হওয়ার এক বছর সাড়ে পাঁচ মাস অর্থাৎ ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।
প্রিয় পাঠক, এখানে আংশিকভাবে প্রাসঙ্গিক বলে অন্য একটি বিষয়ের উল্লেখ করছি। কিন্তু সে বিষয়টির বিস্তারিত বর্ণনায় যাব না। কারণ বিস্তারিত বর্ণনায় গেলে আর একটি স্বতন্ত্র কলাম লিখতে হবে। বিষয়টি হলো, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায়ের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর প্রসঙ্গটি। দেখা যাবে, মান্যবর সিটিং জাস্টিসরা যেগুলোকে মৌলিক কাঠামো বলছেন অতীতের অন্তত ২/৩ জন মহামান্য প্রধান বিচারপতি সেগুলোকে মৌলিক কাঠামো বলেননি। তারা অন্য কতকগুলো বিষয়কে মৌলিক কাঠামো বলেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে অন্য কোনো এক সময় আলোচনার ইচ্ছা রইল।
Journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন