শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

খুবি শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন, পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২২, ১:৩৪ পিএম

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারের মৃক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ওই ডিসিপ্লিনসহ অন্যান্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা। স্ত্রীর মামলায় আটক হয়ে শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকার বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন মামলাটি সাজানো। মিথ্যা অজুহাতে প্রতিহিংসামূলকভাবে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে বেলা সাড়ে ১১ টায় মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এরপর খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর মিলনায়তনে পরিবারেরর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন সুকুমার দাস।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর পুজা স্বর্ণকারের সাথে সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারের ২০২০ সালের ৮ জুন রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকার বা তার পরিবারের কেউ যৌতুক দাবি করেননি। হিন্দু প্রথা অনুযায়ী বিয়েতে কিছু উপঢৌকন দেয়া হয়েছিল। সাধনচন্দ্র তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে খুলনাতে সংসার করতে আসেন। তারপরই মেয়ের পক্ষের বিভিন্ন ধরনের লোভাতুর কর্মকান্ডের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীকে পুঁজি করে অর্থ আদায়ের জন্য তাঁকে জিম্মি করে বিভিন্ন ধরনের নাটক তৈরী করে মেয়ের পরিবার। সাধনের স্ত্রী ও তার পরিবার সাধনের অসুস্থ্য বাবা মাকে ত্যাগ করার জন্য এবং কোন রকম অর্থনৈতিক সাহায্য না করার জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে। মেয়ের বাবা এলাকায় একজন স্বীকৃত সুদখোর। তিনি সুদের ব্যবসা করার জন্য সাধনের কাছে ৫ লক্ষ টাকার বেশি দাবি করেন। সে টাকা সাধন চন্দ্র দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং এর জন্য বিভিন্ন সময়ে তাকে মেয়ে ও মেয়ের বাবা মানসিক এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাধন এর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা করে। এক পর্যায়ে পুজা স্বর্ণকার স্বামীর ঘর ত্যাগ করে। পরবর্তীতে সাধন চন্দ্র স্বর্ণকার ০৬/০১/২০২২ শ্বশুর বাড়ি এলাকায় যান এবং ০৭/০১/২০২২ তারিখ গন্যমান্য ব্যক্তি, মেম্বার, চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তাঁর স্ত্রীকে আনতে গেলে তার স্ত্রী সাধনের সাথে সংসার করতে অসম্মতি জানায় এবং সংসার করবে না এই বলে সাধন স্বর্ণকারের সাথে খুলনায় ফিরে আসেনি। বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ঘটে যেখানে যৌতুক সংক্রান্ত কোন অভিযোগ ওঠেনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, মেয়ের এক আত্মীয় হাজী মালেক ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক বিপুল স্বর্ণকার (যিনি যৌতুক মামলার স্বাক্ষী) শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারকে হুমকি দেন। তিনিই এ মামলার প্রধান কুটকৌশলী। সাধনের বাবা-মা কোন দিন খুলনায় আসেননি তা সত্তে¦ও তাদের মামলায় আসামি করা হয়েছে এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের আরও ১টি মামলা দেয়া হয়েছে। এর আগে সাধন থানায় ১টি জিডি ও উকিল নোটিশ স্ত্রী বরাবর পাঠিয়েছিলেন। ৩১ জানুয়ারি স্ত্রী পূজা স্বর্ণকারের দায়ের করা যৌতুকে মামলায় ৩ মার্চ আদালত সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারকে জামিন না মঞ্জুর করে আদালত জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। আদালতের আইনি সিদ্ধান্তের প্রতি আমরা পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। তবে মামলাটিতে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। পূজা স্বর্ণকার, তার বাবা অলোক স্বর্ণকার ও অন্যান্যরা হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি করেছেন। আমরা ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।
এদিকে, মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তিনি একজন অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ, ভালো শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবি করছি। একই সাথে যড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন