ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দুই শিশু ভাগিনীকে গলাকেটে হত্যা করেছে এক পাষন্ড মামা। এ ঘটনায় হত্যাকারী মামাকে (২১) আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপর এক শিশুকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা। লোমহর্ষক এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে শোকাবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, ইতোমধ্যে তাকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে। এই লোমহর্ষক হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যাকান্ডের সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রান্নাসহ গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ত ছিল। এ সুযোগে ওই শিশুদের ঘরের ভেতর গলাকেটে বারান্দায় রেখে পালাতে চেষ্টা করে খুনি মাহাবুব। পরে ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। স্থানীয়রা জানায়, হত্যাকারী মাহাবুব উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের কাজির বলসা গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের পুত্র। ৭ ভাই-বোনের মধ্যে মাহাবুব চতুর্থ সন্তান। হত্যকারী মাহাবুবের ছোট ভাই সাদেকুর রহমান জানান, দাখিল পাশ করে মাহাবুব নান্দাইল উপজেলার একটি কওমি মাদরাসায় ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু সেখানে সে পাগলের মত আচরণ করায় তাকে মাদরাসা থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর তাকে বেশ কয়েক বার ডাক্তারি ও কবিরাজি চিকিৎসা করানো হলেও ভালো হয়নি। সেই থেকে সে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে অবস্থান করছে।
সাদেকুর আরও জানায়, প্রায়ই সে বাড়ি থেকে এদিক সেদিক চলে যেত। নিয়মিত সে রাতে বাড়ি ফিরে না। তবে গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সে বাড়ি ফিরে আসে। এ শিশু ভাগ্নিরা বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। সেখান থেকে মাহাবুব তাদের ডেকে ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে দা দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। জানা যায়, শিশু সায়মা (৫) ও তৃপ্তি (৪) প্রায় ৭/৮ দিন আগে মার সাথে নানার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদির মিয়া জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং হত্যাকারী মাহবুবকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন