উচ্চ আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করে রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘গণসংহতি আন্দোলন’কে নিবন্ধন না দেয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এর আগে সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী। মামলায় সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাওয়া হয়েছে। জোনায়েদ সাকীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া রিটের শুনানি করেন।
রুলের বিষয়ে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আগের সিইসির মেয়াদ শেষ হয়। পরে নতুন সিইসি নিয়োগ পান। তাই আবেদন সংশোধন করে নতুন সিইসিকে বিবাদী করা হয়। তিনি আরও জানান, গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। পরের বছরের ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না বলে অবহিত করে। পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো: জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকী রিট করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রির রুল মঞ্জুর করেন এবং রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দেয়ার আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরও বলেন, আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেননি। পরে বিভিন্ন সময়ে এ রাজনৈতিক দলের পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় গত বছরের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ প্রাপ্তির পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ১০ ফেব্রুয়ারি গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে মো: জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালত অবমাননা মামলা (নং ৭৮/২০২২) দায়ের করেছেন বলে জানান এই আইনজীবী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন