মহামারি করোনার প্রথম ঢেউ চলাকালীন ২০২০ সালের জুন মাসে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে কুলের বাগান স্থাপন করেন শিক্ষার্থী দুই ভাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাড়িতে বসে না থেকে খালি পড়ে থাকা ২০ শতাংশ পতিত জমিতে বলস্ন্দুরি ও কাশ্মেরি আপেল কুলের বাগান স্থাপন করেন তারা। শেখ মো. মাহিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ ও চাচাতো ভাই মো. আলমগীর হোসেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র।
বাগান স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দুইভাই শুরুতে স্থানীয় উপসহকারি কৃষি অফিসার মোসা. ফাতেমা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করেন। লকডাউন চলার কারণে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে চারা আনা হয় চুয়াডাঙ্গা থেকে। চারা রোপন থেকে শুরু করে সকল পরিচর্যা ও বালাই ব্যবস্থাপনায় পরামর্শ প্রদান করে কৃষি বিভাগ। উদ্যোক্তা আলমগীর বলেন, বাগান স্থাপনের সময় কুল চাষ সম্পর্কে তেমন জানতাম না। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ পেয়ে আমি এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী। আগামীতে নতুন বাগান স্থাপনের পরিকল্পনা করছি। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বানিন রায় বলেন, মাহিন ও আলমগীর অত্যন্ত আগ্রহী ও উদ্যোমী হওয়ায় উনাদের পাশে থেকে উৎসাহ ও পরামর্শ দিতে চেষ্ট করেছি। তাছাড়া বাগান স্থাপনের সময় তিনি করোনার সংক্রান্ত কারণে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। সবমিলিয়ে বাগানটির সাফল্য তার কাছে বেশ আকাক্ষিত। বুড়িচং উপজেলা ফল উৎপাদনে পিছিয়ে থাকায় বাণিজ্যিক ফল বাগান স্থাপনের মাধ্যমে লাভজনক কৃষির দিকে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলা কৃষি অফিস কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিনা আক্তার বলেন, উদ্যোক্তা কৃষকদের ফল গাছের রোপন থেকে শুরু করে সার ব্যবস্থাপনা, অঙ্গ ছাটাই, বালাই দমন ব্যবস্থাপনাসহ ফসল সংগ্রহ পরবর্তী পরিচর্যা-সকল বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আগ্রহী সকল কৃষকদের আহ্বান জানাবো স্থানীয় উপসহকারি কৃষি অফিসার বা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য। বুড়িচং উপজেলায় আম, লেবু, ড্রাগন, কুল, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের বাণিজ্যিক চাষের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, কৃষি নিবানিশী’ এ প্রতিপাদ্য বিষয়েকে সামনে রেখে বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস কৃষি ও কৃষির সাথে সম্পৃক্ত সকলের মানোন্নয়নে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন