স্বপন মিয়া (৪৬) কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে। এ নিয়ে চলছে নানা জটিলতা। হয়রানির বিচার চেয়ে গতকাল অভিযোগ দায়ের করা হয় মেঘনা থানায়।
জানা যায়, গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার মেঘনা থানাধীন চাউলাঘাটা গ্রামের পূর্ব পাশের বাহের চরের খালে মাছ ধরতে গিয়ে বিষ খায় স্বপন। স্বপনকে ছটফট করতে দেখে লোকজন এগিয়ে বিষ খেয়েছে বুঝতে পারে ও তার স্বজনদের খবর দেয়, নিহত চাচা আবুল কালাম, জুসনা, সুমন কুমিল্লা মেডিক্যালে নেয়ার পথে মারা যায় স্বপন। স্বপনের বোন সাহিনুর মেঘনা থানায় এ মৃত্যু নিয়ে জিডি করেন। যাতে উল্লেখ করেন টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে পরিবারের সাথে অভিমান করে স্বপন মিয়া আত্মহত্যা করে। এদিকে মৃত্যুর ১৩দিন পর একই গ্রামের মোশারফ ও তার স্ত্রী কন্যা শাশুড়িসহ চার জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিহত স্বপনের ভাই টিপু মিয়া। অভিযোগে বলা হয় মোশারফের স্ত্রী, মেয়ে ও শাশুড়ির অত্যাচারে স্বপন আত্মহত্যা করে। এতে পুলিশ সালেহাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন, আদালত থেকে জামিন জামিনে বের হয়েছে ছালেহা। অভিযুক্ত মোশারফ জানান, নিহত স্বপন মিয়া পাঁচ লাখ টাকার ওপরে ঋণ করেছেন, টাকা পরিশোধ করতে তিন শতাংশ জমি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন, ছোট ভাই মো. টিপু মিয়া, পিতা মো. লেদু মিয়া, স্ত্রী জেসমিন, বিক্রি করতে বাঁধা দিয়ে আসছে, লেনদেন নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে স্ত্রী, ছোট ভাই এবং পিতার সাথে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না তার। আদালতে স্বপনের পরিবারের ভিডিও ও অডিও দিয়েছে। অডিও ও ভিডিও এর মধ্যে প্রমাণ আছে। আমি মোশাররফ হোসেন মেঘনা থানায় এই মিথ্যা হয়রানিমূলক কর্মকান্ডের বিচার চেয়ে গতকাল একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। মেঘনা থানার ওসি ছমিউদ্দিন জানান, টিপু মিয়ার মামলার তদন্ত করে আমরা সালেহাকে গ্রেফতার করি, মোশারফ উনাকে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে, এমন একটি অভিযোগ আমরা তদন্ত করে দেখছি, সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন