ফরিদপুরের সালথায় গ্রাম্য দলাদলি কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত । আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (১৩ মার্চ) উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কানাইড় গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৫টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গ্রাম্য দলাদলি ও স্থানীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে কানাইড় গ্রামের পারভেজ মেম্বারের সাথে সাবেক মেম্বার কুদ্দুস মাতুব্বরের দীর্ঘদিন ধরে রিবোধ চলে আসছিল। এই দুই মাতুব্বর গ্রাম্য দু’টি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন।পারভেজ মেম্বারের সমর্থক আকবর মাতুব্বরের স্ত্রী ঝুনুরা বেগম ও কুদ্দুস মেম্বারের সমর্থক আরশাফ মাতুব্বরের স্ত্রী নিলুফা বেগম ও তার মেয়ে মারুফা আক্তারের সাথে মেহগনি গাছের পাতা নিয়ে কথা কাটাকটি হয় তারাই সূত্র ধরে রবিবার, নিজেদের গ্রাম্য দলের শক্তি জানান দিতে উভয় গ্রুপের শতশত লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, ভেলা, শরকি, টেটা ও ইটের টুকরো নিয়ে স্থানীয় মাঠের মধ্যে জড়ো হয়। একপর্যায় তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে এ সংঘর্ষে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অংশ নেয়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। আতঙ্ক আর ভয়ে এ এলাকার নারী ও শিশুদের এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ছাড়া সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০জন ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, শামীম(৩০), পিতা হাতেম শেখ মুন্নু (৪৫) কামাল (৪০) উভয় পিতা মোকসেদ শাহীন(৩৫) পিতা আলাউদ্দিন দুলাল (৬০), পিতা শেখ দুলু রিপন মোল্লা (৪৫) পিতা হাতেম মোল্লা সালাম (৭০), পিতা মাসিম শেখ, শাকিব (১৯) পিতা রিপন মোল্লা সেলিম (৩০) পিতা মফেজ মোহাম্মদ ফকির (৬০), পিতা নিহাজ উদ্দিন।
সালথা থানার এস আই মারুফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন