রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফটিকছড়িতে মোবাইল কোর্টের অভিযান

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২২, ১২:০৮ এএম

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সরকারিভাবে গরিব-দুঃখীদের জন্য দেয়া ওএমএস আটা তাদের কাছে বিক্রি না করে অন্যত্র বিক্রির জন্য মজুদের খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তা জব্দ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভাস্থ ওএমএস ডিলার আজম উদ্দিনের বিক্রয় কেন্দ্র ‘আজম ফুড’ গুদামে অভিযানে গেলে তার সত্যতা পায় মোবাইল কোর্ট। গোপন সূত্র জানায়, ওএমএস ডিলার আজম উদ্দীনের গুদামে ন্যয্য মূল্যের আটা অন্যত্র বিক্রির জন্য মজুদের খবর পেয়ে গত শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নাজিরহাটস্থ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ। তিনি সত্যতা পেয়ে ইউএনও ফটিকছড়ির সাথে কথা বলে গুদামটি তালাবদ্ধ করে দেন। গতকাল সকালে এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলমগীর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩৫ বস্তা (১৭৫০ কেজি) আটা জব্দ করেন। জানা যায়, ফটিকছড়ি পৌরসভায় ৩টি, নাজিরহাট পৌরসভায় ৩টি ওএমএস ডিলার রয়েছে। এ ৬টি ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে দুই পৌর এলাকায় সরকারিভাবে গরিব দুঃখী অসহায় মানুষদের জন্য চাউল ও আটা বিক্রি করে থাকে। একজন ব্যক্তির কাছে প্রতি কেজি চাউল ৩০ টাকা ধরে ৫ কেজি এবং প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা ধরে ৫ কেজি বিক্রি করার বিধান রয়েছে। সরকারি আটাগুলো খোলা বাজারে ৩৮/৪০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতি কেজিতে ১৮ থেকে ১৯ টাকা ভর্তুকি দিয়ে গরীব অসহায় মানুষের জন্য ওএমএস-এর মাধ্যমে বিক্রি করছে সরকার। আর সেই আটা গরীব অসহায় মানুষদের মধ্যে বিক্রি না করে খোলা বাজারেই বিক্রির জন্য মজুদের খবর পেয়ে চলে এ অভিযান। পরবর্তীতে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে মর্মে নিশ্চিত করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শ্যাম প্রসাদ চাকমা, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার তানভীর আহমদ সিদ্দিকী, উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
এ বিষয়ে ডিলার আজম উদ্দিনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন