কেশবপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে গোখাদ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। হালের গরু পালনে এখন ত্রাহি অবস্তা। অনেক কৃষক গোখাদ্যের যোগান দিতে না পেরে গোয়ালের গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। হাল-চাষের গরুর অভাবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা পড়েছেন মহাবিপাকে। সকল প্রকার জমিতে পাওয়ারট্রিলার দিয়ে চাষের সুযোগ না থাকায় চাষ যোগ্য ছোট ছোট বহু আবাদযগ্য জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকছে। যার প্রভাব জাতীয় পর্যায়ে পড়ছে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
এ অঞ্চালের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানা গেছে, নিত্য পন্যের সাথে পাল্লা দিয়ে পশুখাদ্যের দাম ও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেশবপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকার ভেদে ভুট্টার খুচরা বিক্রি ৪০ টাকা প্রতিকেজি। ভুষি প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, খইল প্রতি কেজি ৭০ টাকা, খুঁদ প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, ধানের বিচালি ১৬ পোনে এক কাউন ৫ হাজার টাকা।
কেশবপুর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বংশি বদন সাহার মালিক বিধান সাহা জানান, গত এক মাসে পাইকারি মোকামে প্রকার ভেদে প্রতি বস্তা পশু খাদ্যে ২শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বায়সা গ্রামের হারান চন্দ্র ঘোষ বলেন, বর্তমান বাজার মূল্য এত পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে গরু-ছাগল পালন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার ভোগতি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পশু খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ কৃষকের পক্ষে বিশেষ করে কৃষি জমি চাষের জন্য নাংশা গরু পালন দুরহ হয়ে পড়েছে। গ্রামের কৃষকের বাড়িতে হাল চাষের জন্য নাংলা গরু ছাড়া কিছুদিন আগেও কল্পনা করা যেতনা। আর আজ প্রতিটি গ্রামে একজন কৃষক খুঁজে পাওয়া যায় না। গোটসেনা গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, জমি চাষের জন্যে হালচাষের গরু না পাওয়ায় অল্প সল্প জমিগুলো অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকছে। বাদ্য হয়ে অনেক কৃষক অনুপায় হয়ে বিভিন্ন ফলের বাগান করে বসেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন