শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

‘স্ত্রী পালিয়েছে’ বাস মালিকের, টাকা না পেয়ে গাড়ি আটক ছাত্রলীগ কর্মীর

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২২, ১:০৯ পিএম

বাস মালিকের স্ত্রীকে উদ্ধার করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আড়াই লাখ টাকা না পাওয়ায় এফ. আর হিমাচল পরিবহনের একটি এসি বাস ৯ দিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে রেখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকর্মী মেহেদী। আড়াই লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় গাড়ি আটক করে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেছেন পরিবহনটির এমডি নোমান। তবে চাঁদা নয়, এমডির স্ত্রী উদ্ধারের বিনিময়ে তার সাথে চুক্তি অনুসারে আড়াই লাখ টাকা না দেয়ায় বাস আটক করে রেখেছেন বলে দাবি করেন মেহেদী। পরে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

জানা যায়, গত ৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এফ.আর হিমাচল পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব; ১৫৭১-২২) বাসটি পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকা থেকে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে আটকে রাখে মেহেদীসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রলীগের কর্মীরা।

এ বিষয়ে পরিবহনটির এমডি নোমানের অভিযোগ, তাঁতিবাজার মোড় থেকে কোনো কারণ ছাড়াই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আমার গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় গেইটে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মেহেদী নামের একজন আমার কাছে আড়াই লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়া পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া হবে না বলে জানায়। আরও বলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সেক্রেটারির সবচেয়ে কাছের লোক সে। টাকা না দিয়ে থানায় অভিযোগ করলে আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়।

তবে ছাত্রলীগের কর্মী মেহেদি চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, ‘বাস মালিক নোমানের বউ আমার এলাকার এক ছেলের সাথে চলে গিয়েছিল। পরে সে আমাকে বলেছিল, তার বউকে তার কাছে এনে দিতে পারলে আমাকে বাইক, কক্সবাজারের এয়ার টিকেট, আমার গার্লফ্রেন্ডকে স্বর্ণের চেইন ও ৪ দিন থাকা খাওয়ার খরচসহ আরও টাকা দিবে। তাই আমি নোমানের বউকে কৌশলে তার কাছে এনে দিসিলাম। কিন্তু ২০ দিন সংসার করার পর তার স্ত্রী আবার পালিয়ে যায়। কিন্তু আমার কাজের পাওনা আমাকে দিতে হবে। নোমান টাকা না দিয়ে পালিয়ে চলে যাওয়াতে তাকে আর খুঁজে পাইনি। তাই তাকে না পাওয়ায় তার গাড়ি আটকায় রেখেছি। আমি চাঁদা দাবি করিনি। পাওনা টাকা পেতে গাড়ি আটকিয়ে রেখেছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আকতার হোসাইন বলেছেন, এ ব্যাপারে আমাদের ফাঁড়ির ইনচার্জ আমাকে অবগত করলে আমি বলে দিয়েছি এর সাথে আমি এবং আমার সভাপতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

এদিকে সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে প্রক্টরিয়াল টিমের মধ্যস্থতায় বাসটি কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন