বগুড়ার আদমদীঘি সদর ও সান্তাহার পৌর এলাকায় লাইসেন্স ছাড়াই অবাধে চলছে প্লাস্টিক পণ্য, মাছ ও মুরগির খাদ্য তৈরির কারখানা। সেই সাথে ইটভাটা অটো রাইসমিলসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল তৈরির কারখানাও চলছে। পরিবেশ অধিদফতরের লোকজন এসব দেখেও না দেখার ভান করছেন। ফলে পরিবেশ আইনকে পাশ কাটিয়েই চলছে এসব নানা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে মিল কলকারখানার নির্গত ধোঁয়া বর্জ্যরে দুর্গন্ধে ভারি হয়ে উঠছে এলাকার পরিবেশ। এ অঞ্চলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি। অবৈধভাবে গড়ে উঠা মিল কলকারখানায় অদক্ষ ও শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে গিয়ে হরহামেশেই ছোট-বড় দুর্ঘটনার পরও রহস্যজনক কারনে মিল মালিকরা পার পেয়ে যাচ্ছেন।
পরিবেশ অধিদফতরের লাইসেন্স ছাড়া সান্তাহারে বিআরআই এস ওয়ান-টাইম প্লেটও গøাস তৈরির কারখানায় গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কারখানার অভ্যন্তরে আটকা পড়ে আগুনে পুড়ে দুই শিশুসহ ৫ শ্রমিক নিহত হন।
এছাড়াও সান্তাহার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ অফিসের পাশে পরিবেশ অধিদফতরের লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে উঠা চালকলের বিকট শব্দ ও বয়লারের বিষাক্ত ধোঁয়ায় এলাকাবাসী অতিষ্ট। তারা মুক্ত ও নিরাপদ আবাসে বসবাসের দাবি নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে পরিবেশ অধিদফতরসহ প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোনো সুফল পায়নি।
অপরদিকে এলাকার কৃষকরা জানান, ইরি বোরো ধান শাকসবজিসহ সব ধরনের ফসলের উৎপাদন কমে গেছে। শুধু ধান নয়, সকল ফলদ গাছেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ফল বড় না হতেই ইটভাটার গ্যাস ও বিষাক্ত ধোঁয়ায় শুকিয়ে পাকার আগেই গাছ থেকে ঝরে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন