কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও ইরাকের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের একটি খসড়া শীঘ্রই প্রণয়ন করা হবে। বাংলাদেশ থেকে আম, সবজি ও আলু নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইরাকি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুসসালাম সাদ্দাম মুহাইসেন।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান। তিনি বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন সাফল্যের উচ্ছ¡সিত প্রশংসা করেন। এসময় কৃষিসচিব সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরাকের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কীভাবে আরও বাড়ান যায়-তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত ও তুরস্ক থেকে ইরাক কৃষিপণ্য আমদানি করে। ইরাকের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভালো। তারা কৃষিখাতে সহযোগিতা করার জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা বাংলাদেশ থেকে সবজি, আম, আলু নিতে চায়। আমরা আলু রফতানি করতে পারবো।
এদিকে কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণে বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে মেগান ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল কৃষিমন্ত্রীর ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠক করে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেন। মার্কিন কৃষি বিভাগের কারিগরি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে কৃষিপণ্য পরিবহণ ও কোল্ড চেইনের জন্য রেফ্রিজারেটেড ভেহিকল প্রদান করবে বলেও জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়াতে ও ভ্যালু অ্যাড করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সেই লক্ষ্যে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পূর্বাচলে দুই একর জমিতে বিশ্বমানের প্যাকিং হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একজন কনসালটেন্টকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনে মার্কিন কৃষি বিভাগ আমাদেরকে সহযোগিতা করতে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগ ২৭ মিলিয়ন ডলারের বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করছে। ২০২১-২৫ মেয়াদে চার বছরব্যাপী এ প্রকল্প মূলত বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের গুণগতমান ও রফতানি বৃদ্ধিতে কাজ করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন