রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলাধীন বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকায় উপজাতি সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। এসময় দুই সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল অত্যন্ত দুর্গম এলাকায়। সেখানে পুলিশের একটি দলকে পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজস্থলীর গাইন্দা ইউনিয়নের বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী কেচিং পাড়া এলাকায় মগ লিবারেশন আর্মির একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গভীর অরন্যে উঁচু পাহাড় থেকে উপজাতিদের অপর একটি স্থানীয় আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ওপর ব্রাশফায়ার শুরু করে। এসময় উভয় পক্ষই গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মগ লিবারেশন আর্মির সদস্যদের টহল লক্ষ্য করে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থান নেয়া অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনা স্থলেই মগপার্টির তিন সদস্য নিহত ও দুই সদস্য আহত হয়। পরে উভয় পক্ষই বন্দুকযুদ্ধে মেতে উঠে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গোলাগুলির ঘটনায় জামছড়ির থাংকুই পাড়ার অং থোয়াই মার্মা (৪৫) নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। তার পিতা নাম থুই খয় মিঙ মার্মা। নিহত অং থোয়াই মার্মা এমএনপির গাইড ছিলো বলেও জানা গেছে।
রাজস্থলীর ২ নং গাইন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা জানিয়েছেন, আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় এবং সেটি বান্দরবান সীমানায় পড়েছে। আমার ইউনিয়নে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বান্দরবান সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লে.কর্নেল মাহমুদুল হাসান জানান, খবর পেয়ে বান্দরবান থেকে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্তু লারমার দল জনসংহতি সমিতি ও মগ লিবারেশন পার্টির মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে যারা নিহত হয়েছেন তারা কোন দলের তা এখনো জানা যায়নি এবং তাদের নাম ও পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ে মগ লিবারেশন পার্টি ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। গত এক বছরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন