স্থানীয়দের হামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের তাৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ এলাকা থেকে বাসে উঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষার্থী। বাসে জিনিসপত্র রাখা নিয়ে বাসের কন্টাক্ট্ররের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে বাসটি শেখপাড়া পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা হেলপারের ওপর চড়াও হয়। পরে ওই হেলপার পাশের এক দোকানে ঢুকেন। এসময় হেলপারকে দোকান থেকে বের করতে গেলে দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয় শিক্ষার্থীদের। এক পর্যায়ে ওই দোকানদার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এসময় শিক্ষার্থীরের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা হকিস্টিক, লাঠি, চাপাতি নিয়ে অতর্কিতভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এসময় ২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হওয়াসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে গুরুতর আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেয়া হয়।
এদিকে ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টার দিকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুণরায় হামলা চেষ্টা চালায় স্থানীয়রা। রাত প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত স্থানীয়রা লাঠি, হকিস্টিক ও বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী এলাকায় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয় তারা। পরে সাড়ে ১১টার দিকে আলোচনায় বসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল ও স্থানীয় লোকজন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি, পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন