সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা
সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ডাক্তাররা রোগী দেখার কথা থাকলেও বেলা ১১টার পরও হাসপতালের দুই, তিন ও চার নাম্বার চেম্বার এ ডাক্তারশূন্য দেখা গেছে। হাসপতালে গিয়ে দেখা যায়, চেম্বারের বাইরে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি, রোগীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু চেম্বারে ডাক্তার নেই। হাসপাতালের ২, ৩ ও ৪নং চেম্বার ডাক্তারশূন্য ফাঁকা। এ সময় দূর-দুরান্ত থেকে আসা অসহায়, দরিদ্র রোগীদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। রোগীরা ডাক্তারের অপেক্ষায় থেকে অতিষ্ঠ হয়ে ডাক্তারকে ফোন করার পর রোগীকে হাসপাতালের পাশেই লাইফ কেয়ার ক্লিনিক, মডার্ন ডক্টরস ক্লিনিক, শুভেচ্ছা ক্লিনিকে যেতে বলেন। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক ও ডাক্তারদের মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তুলে ধরার পরও ডাক্তারদের মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ডাক্তাররা হাসপাতালে চাকরি করলেও ক্লিনিক ব্যবসা ও ওষুধ কোম্পানির লোকদের তুষ্ট করতে বেশি ব্যস্ত থাকেন। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্ধারিত ২১ জন ডাক্তারের মধ্যে ১৭ জন রয়েছেন। এই ১৭ জন ডাক্তার নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিলে স্বল্পব্যয়ে সখিপুরের লোকজন চিকিৎসাসেবা পাবে বলে বিজ্ঞমহল মনে করেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাফিউল করিম খানের চেম্বারে জানতে গেলে তাঁর চেম্বারও খালি পাওয়া যায়। সখিপুর হাসপতালে অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন