শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

খামারের বর্জ্য যত্রতত্র ফেলায় পরিবেশ দূষণ বাড়ছে ক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
মীরসরাই উপজেলার ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘরিয়াটোলা গ্রামের মধ্যখানে জনবসতি স্থলে ২টি মুরগির পোলট্রি র্ফাম স্থাপন করে পরিবেশ দূষণ করছে স্থানীয় এক ব্যক্তি। খামারের বর্জ্য গ্রামের যত্রতত্র ফেলার কারণে তীব্র দুর্গন্ধসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের অভিযোগ করায় খামারের মালিকে এর কোনো প্রতিকার না করে উল্টো দেখে দেয়ার হুমকি দেয়। আর তাই অবশেষে থানায় জিডি এন্ট্রি করে গ্রামবাসী। ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানান, উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের তিনঘরিয়াটোলা ইউনিয়নে বেআইনিভাবে দুটি মুরগির খামার গ্রামবাসীর জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মসজিদের মুসল্লিরা নামাজে গেলেও দুর্গন্ধে নাক চেপে রাখতে হচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ সকলেই অতিষ্ঠ বর্জ্যরে উৎকট দুর্গন্ধে। পাশাপাশি এলাকার ফসলি জমিও বিপন্ন হওয়ার উপক্রম। অবশেষে গ্রামবাসী উক্ত পোলট্র্রি খামারের উদ্যোক্তা আনিসুল হকের কাছে অভিযোগ করলে তিনি বার বার এর প্রতিকার করবেন বলেও কোনো প্রতিকার না করায় অতিষ্ঠ গ্রামবাসী প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জয়নাল আবেদিনকে জানান। উক্ত ইউপি মেম্বার এর প্রতিকারে ব্যর্থ হলে গ্রামবাসীর পক্ষে স্থানীয় নবী চৌধুরী বাদি হয়ে মিরসরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি এন্ট্রি করে। কিন্তু এতে পোলট্রির মালিক আনিসুল হক অভিযোগকারীদের উল্টো গালমন্দ করাসহ নানান হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান নবী চৌধুরী। গ্রামবাসী সাংবাদিকদের আরো জানান, উক্ত পোলট্রি খামারের মালিক প্রভাব ও দাপট দেখিয়ে কষ্ট দিয়ে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করতে বাধ্য করছেন। ফলে একদিকে নষ্ট করছে ফসলাদি। অপরদিকে কয়েক সহস্রাধিক গ্রামবাসীর পরিবেশ দূষণ করছেন। এই বিষয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও পরিবেশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন গ্রামবাসী। এই বিষয়ে মিরসরাই থানার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা এসআই শফিকুর রহমান পিপিএম-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিগগিরই এই বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন