১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার প্রচারকেন্দ্র কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য যেতে পারেননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুলিশ বিএনপি নেতাদের পথ আটকে দেয়। তবে এর আগেই তারা নগরীর ষোলশহরে বিপ্লব উদ্যানে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।রোববার দুপুরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা বিপ্লব উদ্যানে যান। সেখানে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে গাড়ি নিয়ে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেন।কিছু দূর যেতেই ষোলশহর দুই নম্বর গেটে পুলিশ তাদের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গাড়ি থেকে নেমে আসেন। তার সঙ্গে পুলিশের বাকবিতন্ডা হয়। তবে শেষপর্যন্ত বেতারকেন্দ্রে আর যেতে পারেননি। সেখান থেকেই ফিরে যেতে হয় বিএনপি নেতাদের। এদিকে বিএনপি নেতাদের যখন পুলিশ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয় তখন সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ অবশ্য তাদের সরিয়ে দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বিপ্লব উদ্যানে বিএনপি নেতাদের শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি ছিল। সেখানে তারা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এরপর নির্ধারিত কর্মসূচি হচ্ছে পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশ। কিন্তু উনারা নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরে বেতারকেন্দ্রে যেতে চেয়েছিলেন। সেখানে তো কোনো অনুমতি নেই। সেজন্য আমরা বলেছি, আপনারা নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করেন। এর বাইরে কর্মসূচি পালনের অনুমতি নেই। বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে রোববার কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় তারা শুধু শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি ঘোষণা করে। বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে আওয়ামী লীগ একইস্থানে দিনভর গণজমায়েত ও সমাবেশের ঘোষণা দেয়।এ অবস্থায় শনিবার রাতেই বিএনপি সিদ্ধান্ত নেয়, তারা কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে যাবে না। তারা বিপ্লব উদ্যানে ফুল দিয়ে এবং পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশ করে কর্মসূচি শেষ করবে। পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশের জন্য বিএনপি পুলিশের অনুমতিও নেয়। অপর দিকে কালুরঘাটে বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে মাঠে নামে আওয়ামী লীগ। সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে বহদ্দারহাট এলাকায় মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন