পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও গ্রামের শাহ্্সুফি পীরে কামেল হাফেজ ক্বারী মৌলানা আবু ছৈয়দ শাহ্্-এর মাজারস্থ ছৈয়দ ভান্ডার দরবার শরীফের প্রতিবেশী মত্তুল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে নিজ ভিটায় দাফন করে তা মাজারে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছৈয়দ ভান্ডার দরবারের পাশ্ববর্তী মত্তুল হোসেন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে নিজ ভিটায় দাফন করা হয়। তার পুত্র রমজান আলী বিদেশ থেকে দেশে এসে কবরের চারপাশে টিন দিয়ে বেড়া দেয়, এছাড়া বর্তমানে কবর পাকা করে মাজারে রূপান্তর করার জন্য ইট, বালি, সিমেন্ট মজুদ করা হয়। এলাকার লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে গণস্বাক্ষর দিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি লিখিত আবেদন করে।
বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ইউএনওকে দায়িত্ব দিলে ইউএনও পটিয়া থানার ওসিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পটিয়া থানার এসআই এরশাদ উল্লাহ জানান উক্ত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ওসি সাহেব আমাকে দায়িত্বভার দিয়েছেন আজ সোমবার ছৈয়দ ভান্ডার দরবারের লোকজন ও মত্তুল হোসেনের পুত্র রমজান আলীকে বৈঠকে বসার জন্য ডাকা হয়েছে।
শাহ্্ আলম নামের এলাকার এক ব্যক্তি জানান মত্তুল হোসেন একজন সাধারণ লোক। তার মধ্যে কোন আধ্যাত্মিক শক্তি নেই। তার নামে মাজার করা হলে ছৈয়দ শাহ্্ মাজারের পবিত্রতা নষ্ট হবে।
এ ব্যাপারে মত্তুল হোসেনের পুত্র রমজান আলী জানান আমার পিতার কবরটি মাজারে রূপান্তরিত করার কোন পরিকল্পনা নেই। পবিত্রতা রক্ষার জন্য কবরের চারপাশে পাকা দেওয়াল দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন