যে তালেবান একসময় আফগানিস্তানের বামিয়ানের প্রাচীন বুদ্ধমূর্তি ধ্বংস করেছিল, আজ তারাই নাকি সে সমস্ত ভাঙাচোরা সমস্ত বুদ্ধমূর্তির সংরক্ষণ করছে! সূত্রের দাবি, পর্যটনখাত শক্তিশালী করতে ও চীন সরকারের অর্থানুকূল্য পেতেই নাকি এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা!
আফগানিস্তান পুণরায় ক্ষমতায় এলেও আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে সদ্ভাব গড়ে তুলতে পারেনি তালেবান শাসকগোষ্ঠী। উপরন্তু, সদ্য দেশে মেয়েদের পঠন-পাঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নতুন করে নিজেদের বিপদ বাড়িয়েছে তারা। বাকি বিশ্বের অধিকাংশ দেশই তাদের সঙ্গে কোনও আর্থিক সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজি নয়। জারি রয়েছে একগুচ্ছ আর্থিক বিধিনিষেধও। এই অবস্থায় আস্ত একটা দেশ দখল করে বসে থাকলেও বেহাল ভাঁড়ারে খরচ চালানো কঠিন।
তাই তালিবান ঠিক করেছে, আফগানিস্তানের মাটির নীচে সঞ্চিত তামার ভাণ্ডার চীনের হাতে তুলে দেবে তারা। এই খনিজ শিল্পোৎপাদনে কাজে লাগাবে বেইজিং। বদলে মোটা টাকা রোজগার করবে দেশ। আর তাই বেইজিংয়ের নেকনজরে আসতেই নাকি ভেঙে ফেলা বিভিন্ন বুদ্ধমূর্তি সংরক্ষণ করতে শুরু করেছে তারা!
গ্রামীণ আফগানিস্তানের মেস আয়নাক তামার খনি এলাকায় এখন পাহারা বসেছে। সেখানে যাতে কোনও ধ্বংসলীলা না হয়, সেই বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক তালেবান শাসকেরা। খনি এলাকার নিরাপত্তার শীর্ষ রয়েছেন তালেবান নেতা হকুমউল্লাহ মুবারিজ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওগুলো (বুদ্ধমূর্তি) রক্ষা করাটা আমাদের কাছে এবং চীনাদের কাছে অত্যন্ত জরুরি।’
আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদের দিকে বরাবরই বিশ্বের উন্নত এবং ধনী দেশগুলির নজর রয়েছে। কিন্তু, যুদ্ধ পরিস্থিতি, সন্ত্রাসবাদ-সহ নানা কারণে এতদিন এখানে কোনও বড় বিনিয়োগ হয়নি। তবে করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। সূত্রের দাবি, শুধুমাত্র চীন নয়, রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্কও আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে। সূত্র: সিএনবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন