পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় হালিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ তালাক নামায় স্বাক্ষর না করায় অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে উপজেলার চরপাড়াতলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। সে শ্রীরামদী গ্রামের সাফির উদ্দিনের কন্যা। নির্যাতিত গৃহবধূ হালিমা খাতুন জানান, গত নয় মাস পূর্বে চরপাড়াতলা গ্রামের মৃত আবদুল হেকিমের পুত্র আবদুল আউয়ালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী আবদুল আউয়াল গৃহবধূ হালিমাকে তার পিতার নিকট থেকে টাকা পয়সা এনে দেয়ার জন্য বলে। গৃহবধূ টাকা পয়সা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সকালে গৃহবধূকে হত্যার জন্য তার স্বামী পানির পাত্রে বিষ মিশিয়ে রাখলে বিষয়টি গৃহবধূ বুঝতে পেরে প্রতিবাদ করে। এ ঘটনার জের ধরে গত শনিবার রাতে স্বামী আবদুল আউয়াল ও তার ছোট ভাই কাঞ্চনসহ কয়েকজন ব্যক্তি গৃহবধূকে ঘরে আটক করে তালাক নামায় স্বাক্ষর করতে বলে। গৃহবধূ তালাক নামায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করলে তার স্বামী ও দেবর গংরা তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করলে গৃহবধূ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে গৃহবধূকে মৃত ভেবে স্বামী ও অপর ব্যক্তিরা ঘর থেকে চলে যায়। প্রায় আধাঘন্টা পর গৃহবধূ হালিমার জ্ঞান ফিরে আসলে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বড় ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজনরা আহতাবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে রাতেই পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুনের সঙ্গে গতকাল রোববার দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন