খাগড়াছড়ির রামগড়ে যাত্রীবাহী সিএনজি ও বালুভর্তি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নামে টাকা দিয়ে সমোঝোতার অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে থেকে ঘাতক ট্রাক ও চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় হয়নি মামলা ও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন চালক।
জানা যায়, দুর্ঘটনার পরদিন সোমবার রাতেই ঘাতক ড্রাম ট্রাকের মালিক হেদায়েত উল্লাহসহ কতিপয় ব্যক্তির বৈঠকে মামলা না করার শর্তে নিহত তাসলিমা বেগম ও তার শিশুকণ্যার জীবনের মূল্যে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। নিহতের পরিবারের পক্ষে ভাসুর আলমগীর সমোঝোতায় উপস্থিত ছিলেন এবং আহত আজিজ উল্যাহ, মমতাজ বেগম ও রওনারা বেগম কে চিকিৎসার জন্য মোট ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেন ট্রাক মালিক।
দুর্ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বেপরোয়া গতির ড্রাম ট্রাক ও অদক্ষ্য চালকদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠে। এমন দুর্ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলেও প্রশাসনের পক্ষে কার্যত কোন আইনি প্রদক্ষেপ না নেয়ায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি মনে করে হাবিব আহমেদ নামের এক ব্যক্তি তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, এসব দুর্ঘটনা এক প্রকার হত্যাকান্ড। জরিমানা দিয়ে আপোষ এক প্রকার একটি আইনে পরিনত হয়েছে। দুর্ঘটনা যেনো না ঘটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ না নিয়ে টাকা দিয়ে সমোঝতা করা মানবতার চরম অবক্ষয়। রামগড়ের পাতাছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম সমঝোতার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ও আহতদের পরিবারের সম্মতিতে এ সমঝোতা হয়। নিহতের স্বামী সালে আহাম্মদ বলেন, মামলা করে কি আর তাদের ফিরে পাবো? তবে তার বড়ভাই আলমগীর ট্রাক মালিকের সাথে কথা বলে দুর্ঘটনার বিষয়ে সমাধান করেছেন বলে জানান।
রামগড় থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, দু’পক্ষের আপোষের কারণে নিহত বা আহতদের কারো অভিযোগ না থাকায় থানায় কোন মামলা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন