শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

লোহাগাড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আলোক ফাঁদে পোকা দমন

প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

তাজ উদ্দীন, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) থেকে

আমনের ভরা মৌসুমে লোহাগাড়া উপজেলায় আলোক ফাঁদের মাধ্যমে পোকা দমন ও শনাক্তকরণ অভিযান চলছে গত ২ মাস ধরে। স্বল্প খরচে, কোনরকম কীটনাশক ব্যবহার ছাড়া, স্বল্প পরিশ্রমে আলোক ফাঁদের মাধ্যমে পোকা দমন পদ্ধতিটি ফসল বা জমির কোন ধরনের ক্ষতি হয় না। স্থানীয়রা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকা দমনে বেশ সফল হচ্ছে। যার কারণে দিন দিন পদ্ধতিটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ব্লকে এ পর্যন্ত শতাধিক আলোক ফাঁদ বসানো হয়েছে। লোহাগাড়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকরা এই আলোক ফাঁদ পদ্ধতিটি চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, সন্ধ্যার সময় ধান ক্ষেতের ১০-১৫ মিটার দূরে পতিত জায়গায় আলোক ফাঁদ বসানো হয়। চার্জ লাইটের সাহয্যে খুঁটিতে পুঁতে নিচে সাবান মিশ্রিত পানির গামলা দিয়ে এই ফাঁদ স্থাপন করা হয়। এতে অপকারী পোকাগুলো আলোতে আকর্ষিত হয়। যার ফলে পোকাগুলো সাবান মিশ্রিত পানিতে পড়ে মারা যায়। ফসলে কি কি অপকারী পোকা রয়েছে তা শনাক্ত করা যায়। পোকার উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা কৃষি অফিস হতে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেয়া হয়। ফাঁদের মাধ্যমে সবুজ পাতা, ফড়িং, মাঝরা মথ, পাতা মোড়ানো পোকার মথ দেখা যায়। লোহাগাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামীম হোসেন জানান, মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আলোক ফাঁদ স্থাপন করে অপকারী পোকা দমন ও শনাক্তকরণ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করে আসছি। পোকা দমনের এই অভিযান আমন কাটা পর্যন্ত চলবে বলে তিনি জানান। চুনতির কৃষক আবুল হোসেন, পুটিবিলার মোহাম্মদ হারুন, আমিরাবাদের হাশেমুর রশিদসহ এলাকার একাদিক কৃষক বলেছেন, কম খরচে পোকা দমনের এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে তারা সুফল পেয়েছেন। উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বুলবুল জানান, লোহাগাড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাউল উৎপাদন হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা চাউলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন