আল আমিন ম-ল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সবজি হাট বগুড়া শিবগঞ্জে’র ঐতিহাসিক মহাস্থান হাট। হাটে শীতের সবজির সমারহ হলেও খুচরা বাজারে দাম বেশি। আর সেই হাটের এখন বেহাল দশা। জানা যায়, মহাস্থান হাটে শীতকালীন মৌসুমে সবজির দাম পাইকারি ও খুচরা বাজারের মধ্যে তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। হাটবাজারে ফুলকপি ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা প্রতি মণ যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। বাঁধাকপি শতকরা ১৮শ থেকে ২ হাজার টাকা, খুচরা বাজারে প্রতিটি বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। বরবটি কালাই ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা মণ খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। মুলা ৭শ থেকে ৮শ টাকা মণ খুচরা বাজরে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, লাল শাক আঁটি শতকরা ৪শ থেকে ৫শ টাকা খুচরা বাজারে প্রতি আঁটি ৭ থেকে ৮ টাকা। বেগুন ৮শ থেকে ৯শ টাকা মণ খুচরা বাজারে ৪০ টাকা কেজি, তরকারিÑ কলা প্রতি হালি ৮ থেকে ১০ টাকা খুচরা বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি। হাটবাজারে সরকারিভাবে মনিটরিং না থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষ শীতকালীন কাঁচা শাকসবজি ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বস্তা কাঁচামাল ক্রয় করার পর খাজনা-লেবার (শ্রমিক) খরচ ও রাস্তায় পুলিশি ও শ্রমিকদের চাঁদা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। সরকারিভাবে নির্ধারণ করা খাজনার চাইতে হাটগুলোতে বেশি খাজনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে মহাস্থান হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য আলহাজ জাহিদুর রহমান, আলহাজ আজমল হোসেন ও মোশারফ হোসেন জানান, গত বছরে মহাস্থান হাট ইজারা ছিল প্রায় আড়াই কোটি টাকা। এ বছরে হাট ইজারা নেয়া হয়েছে প্রায় পনে চার কোটি টাকা। আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী খাজনা আদায় করছি। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, এতো টাকা হাট ইজারা হলেও মহাস্থান হাটের কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নেই। মাছ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জায়গা ‘খানা-খন্দ’কে ভরা। নেই ব্যবসায়ীদের বিশ্রামাগার। হাটের এসব চলমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানে হাট পরিচালনা কমিটি ও প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন