মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আবাসিক এলাকায় গুল ফ্যাক্টরি, বাতাসে উড়ছে তামাকের গুঁড়া

প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে

ওখানকার বাতাসে ওড়ে তামাক পোড়ার গন্ধ। ঝাঁঝালো ধোঁয়ায় চোখ খুলে রাখাই যেন দায়। আর নিঃশ্বাস নিলে যেন মোচড় দিয়ে ওঠে বুক। অর্থাৎ দম বন্ধ করা পরিবেশ। নীলফামারী জেলার বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের আবাসিক এলাকায় একের পর এক গড়ে উঠছে গুল ফ্যাক্টরি। ফলে এখানকার বাতাসে উড়ছে তামাকের গুঁড়া। পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব বিস্তারকারী এ গুল ছড়িয়ে পড়েছে শহরময়। এর ঝাঁঝালো গন্ধে বিষাক্ত ও দুষণমুক্ত হয়ে পড়েছে পরিবেশ। জনজীবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই গুল ফ্যাক্টরির কারণে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করাও দুরূহ হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে নানা রোগ-ব্যাধিসহ অসংখ্য সমস্যা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা। আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠা গুল ফ্যাক্টরিগুলোতে দিনরাত উন্মুক্ত পেষাই মেশিনে তামাক গুঁড়া করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শহরের বাঁশবাড়ি, নতুন বাবুপাড়া, হাজী কলোনী, মিস্ত্রিপাড়া, গোলাহাটসহ কয়েকটি আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য গুল ফ্যাক্টরি। খালেদ গুল, তারিক গুল, ওয়ান স্টার, নওশাদ গুল, সাকিব গুল উল্লেখযোগ্য। এসব ফ্যাক্টরিতে তামাক পাতা ভাজার পর হলার মেশিনে গুঁড়া করা হয়। দিনরাত অনবরত গুল ফ্যাক্টরিগুলোতে তামাক গুঁড়া করার সময় তা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। গুলের ঝাঁঝালো গন্ধে এলাকার পরিবেশ চরমভাবে দূষিত হওয়ায় স্বাভাবিক বসবাস করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। চোখ-নাক ও মুখে তামাক গুঁড়া ঢুকে শ্বাসকষ্ট, হুপিং কাশি, নিউমোনিয়াসহ চোখের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সৈয়দপুর এমনিতে ঘিঞ্জি শহর, তার উপর আবাসিক এলাকায় এভাবে গুল ফ্যাক্টরি গড়ে উঠায় পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী সমস্যায় থাকলেও ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ তা কর্ণপাত করছেন না। এ ব্যাপারে পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পৌর মেয়র, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই শুধুমাত্র পৌর ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এভাবে ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে সৈয়দপুরে ইতোমধ্যে ১০/১২টি গুল ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। এসব ফ্যাক্টরির বেশির ভাগই আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন