পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শুক্রবার খাইবার-পাখতুনখাওয়ার (কে-পি) মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান এবং পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলকে প্রদেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ‘অপ্রতিরোধ্য সাফল্যের’ জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘খাইবার পাখতুনখোয়ার মানুষ বিশ্বাসঘাতকদের দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এটি সমস্ত বিশ্বাসঘাতকদের জন্য তাদের নির্বাচনী এলাকায় তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে তার একটি প্রাথমিক সতর্কতা।’
পিটিআই স্থানীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনায় প্রাথমিকভাবে এগিয়ে ছিল যা একদিন আগে কে-পির ১৮টি জেলার ৬৫টি তহসিলে অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনার আংশিক ফলাফলে দেখা গেছে, ২২টি তহসিলে পিটিআই, পাঁচটিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) এবং জামায়াতে ইসলামি (জেআই) চারটিতে এগিয়ে রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দুইটিতে এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) একটি তহসিলে এগিয়ে ছিল। প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে যে, সমস্ত ভোট গণনা শেষে ফলাফল পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে, গতকাল পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে। ‘এই রিপোর্টের পর, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে,’ তিনি বলেন। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, পিটিআই নেতা ফয়সাল ভাওদা অনুরূপ দাবি করে বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রীকে ‘দেশ বিক্রি করতে’ অস্বীকার করার কারণে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
ইমরানকে সুযোগ দিতে আফ্রিদির আর্জি
পাকিস্তানের ইতিহাসে কখনোই কোনো প্রধানমন্ত্রী তার সাংবিধানিক মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। অস্তিত্ব রক্ষায় লড়ছেন ইমরান খানও। আগামীকাল রোববার চূড়ান্ত হতে পারে তার ভাগ্য। গণমাধ্যমের জোর দাবি, পাকিস্তানকে ১৯৯২ বিশ্বকাপ এনে দিলেও এবার রাজনীতির মাঠে পরাজিত হবেন ইমরান। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না তিনি। কারণ শরিক দলগুলো একে একে ছেড়ে যাচ্ছে ইমরানকে। অনেকটা নিজ ঘরেই পরবাসী হয়ে পড়েছেন তাহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান। এমনতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ নিয়ে দেশবাসীর প্রতি এক আর্জি পেশ করলেন শহীদ আফ্রিদি।
পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার আফ্রিদি টুইট করেছেন, ‘পাকিস্তানের স্বাধীনতার ৭৪ বছর চলছে। আল্লাহর দোহাই, অন্তত একটি নির্বাচিত সরকারকে তাদের সাংবিধানিক মেয়াদ পূর্ণ করতে দিন।’
রোববার অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন ইমরান খান। চতুর্মুখী চাপে ধারণা করা হচ্ছিল পদত্যাগ করবেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ইমরান উল্টো লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিদেশি শক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দিকে আঙুল তুলেছেন ইমরান। অন্যদিকে বিরোধীরা ইমরানকে পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে। সূত্র : ডন, ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন