চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা
পাবনার চাটমোহরে হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবাসহ নানান ধরনের মরণনেশা মাদকদ্রব্য। যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গড়ে তুলছে মাদকের মজুদ। ঈদপূর্ব হতে শুরু করে চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে হাত বাড়ালেই মরণনেশা ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, মদসহ নানান ধরনের মরণনেশা মাদকদ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে। ইয়াবা নামক মরণনেশাই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে বিভিন্ন গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়। এই সব মাদকদ্রব্য বেচা কেনার সাথে এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা জড়িত রয়েছে বলে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিভাবকগণের অভিমত। জানা যায়, চাটমোহর উপজেলার প্রায় অর্ধশত পয়েন্টে এই ভয়াল মাদকদ্রব্য বিকিকিনি হচ্ছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে চাটমোহর রেলবাজাররস্থ কুবিরদিয়ার ও রতনপুর নামক গ্রামে। গ্রামটি যেন মাদক বিক্রিয় ওপেন সিক্রেট। হয়তবা কোন অদৃশ্য শক্তির থেকে লীজ নিয়ে অবাধে এই মরণ নেশাগুলি বিক্রি করা হচ্ছে। কুবিরদিয়ার, রতনপুর, চাটমোহর রেলস্টেশন, মথুরাপুর, আটলংকা, বাসস্ট্যান্ড, মহেলা হাট, হান্ডিয়াল, কাটাখালী, কামালপুর, মিশনগেট, ফৈলজানা, হিরিন্দাবাজার, পবাখালী, ছাইকোলাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে এই মরণনেশা বিক্রি করা হচ্ছে। ভিক্ষুক ও পাগল রূপ ধারণ করে যথাস্থানে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে নানান ধরণের মরণ নেশা। মোবাইল ফোনে কথামত বা ম্যাসেজের ঠিকানামত পৌঁছে যাচ্ছে মাদকদ্রব্য। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে সচেতন অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের নিরাপদে রাখার চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। চাটমোহর থানা পুলিশ প্রায় দিনই অভিযান চালিয়ে ২/১ জনকে আটক করলেও রাঘভ বোয়ালেরা তাদের ব্যবসা নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্র মতে প্রকাশ। অনেকটা সহজলভ্য হওয়ায় মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজের ছাত্ররা। এ অবস্থায় অভিভাবক মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। মাদকের ভয়াল ছোবল গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় ছিঁছকে চুরিসহ নানাবিধ অপকর্ম বেড়ে চলছে। বর্তমান সময়ে এলাকায়গুলিতে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারী এবং অভিযান কামনা করছেন সাধারণ মানুষেরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন