রাজনৈতিক জীবনে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দেশের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে বিপর্যয় ডেকে আনার। এই অভিযোগে বিরোধী দলগুলো তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। আজ রোববার সেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে ইমরান খান হেরে গেছে কী হবে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ শনিবার সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছেন, ইমরান খান রোববারের অনাস্থা ভোটে হেরে গেলেও তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী শপথ না নেওয়া পর্যন্ত অফিস করবেন।
এ ব্যাপারে শেখ রশিদ বলেন, সংবিধানের ৯৪ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অনাস্থা ভোটে হারলেও প্রধানমন্ত্রী বহাল থাকবেন।
কতক্ষণ? এ বিষয়ে আইন স্পষ্ট নয়। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রতি মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে পাকিস্তানের রাজনীতির পরিস্থিতি।
এদিকে, ইমরান খানের সরকারের প্রতি ১৪২ সদস্যের সমর্থন রয়েছে বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ দাবি করেছে। অন্যদিকে বিরোধীদের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ১৯৯ জনের। ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ১৭২ জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। তাই অনাস্থা ভোটে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে অনাস্থা ভোটে ইমরান খান হারলে কী হবে?
এ ব্যাপারে শেখ রশিদ বলেন, পাকিস্তানের সামনে এখন দুটি বিকল্প রয়েছে; এক, আগাম নির্বাচন, দুই, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সব আইনপ্রণেতারা তাদের আসন থেকে পদত্যাগ করেন। যদি পিটিআইয়ের সকল সদস্য পদত্যাগ করেন, আমি দেখতে চাই কিভাবে তারা দেশ শাসন করতে পারে।
৭৫ বছরের ইতিহাসে পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে বিপর্যয় ডেকে এনেছে অভিযোগ করে অনাস্থা প্রস্তাব দেয় বিরোধীরা। ৪ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে এর আগে দুবার দায়িত্বরত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে। তবে সেই দুবারই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীরা (১৯৮৯ সালে বেনজীর ভুট্টো এবং ২০০৬ সালে শওকত আজিজ) দায়িত্বে থেকে যেতে সক্ষম হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন